
কলকাতা: ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও টিকিটিও ছুঁতে পারেনি পুলিশ। এদিকে খবর পাওয়া যাচ্ছে তিনি নাকি বিহারে বসে রয়েছে। ফেসবুকে পোস্ট করছেন রিলস। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে, ‘ আমার শান্ত রূপ দেখেছ, আশা করব আমার রুদ্ররূপ দেখতে হবে না।’ কিন্তু তপ্ত গুলশান কলোনি নিয়ে যখন গোটা কলকাতায় শোরগোল, যখন প্রকাশ্যে বোমাবাজি, দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য নিয়ে প্রশ্নের পর প্রশ্ন তুলে যাচ্ছে বিরোধীরা তখন কেন ফিরোজকে ছুঁতেও পারছে না পুলিশ? বিরোধীরা বলছে মাথায় হাত রয়েছে এক বিধায়কের।
এদিকে ইতিমধ্য়েই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে ফিরোজের দুই শাগরেদ। তারমধ্যে ঘনিষ্ঠ দুই সহযোগিও রয়েছে। সূত্রের খবর, গুলশন কলোনিতে ফিরোজের সাম্রাজ্য আজকের নয়, পালবদলের আগে থেকেই। ২০১০ সাল থেকেই বাড়ে রমরমা। বরবরাই এলাকায় সেই বিধায়েক অনুগত হিসাবেই তাঁর পরিচিতি থেকেছে। ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত এলাকায় নির্মাণ ব্যবসায় সিন্ডিকেট চালানো থেকে শুরু করে, একাধিক কাজে তাঁর নাম জড়ায়। একাধিক থানায় তার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ থেকে আর্মস কেস, ভয় দেখানো, তোলাবাজি, বেআইনি পার্কিংয়ের কেস রয়েছে।
গুলশন কলোনির বেতাজ বাদশা
এলাকার বাসিন্দাদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, বিধায়কের হয়ে কার্যত গোটা এলাকার নিয়ন্ত্রণই ছিল মিনি ফিরোজের হাতে। বিধায়কের ঘনিষ্ঠ থাকার কারণেই পুলিশ টিকি পর্যন্ত ছুঁতে পারেনি। তবে থানায় কেস হয়নি এমনটা নয়। কসবা থানা থেকে আনন্দপুর, তপসিয়া, তিলজলা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগ।
নানা কাজের জন্য রীতিমতো টিম তৈরি করে চালাত কারবার। একটা টিম যেমন সিন্ডিকেট দেখত, তেমনই অন্য টিম দেখত বেআইনি পার্কিং, আবার অন্যদিকে অন্য এক টিম বিদ্যুতের বিষয়গুলি দেখত। এমনকী বিরোধী কোনও দলকেও মাথা তুলতে দেয়নি। সোজা গোটা এলাকার বেতাজ বাদশা। এমনকী বিধায়ক ঘনিষ্ঠ থাকায় আগে যে সমস্ত কাউন্সিলররা ছিল তাঁরাও কেউ কখনও ফিরোজের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার সাহস দেখায়নি। এবার নাম জড়িয়েছে নতুন কেসে, এখন দেখার শেষ পর্যন্ত পুলিশ কী ‘অ্যাকশন’ নেয়।