Jadavpur Student Death: ‘ফ্রেশার্সের দিন জামা-প্যান্ট ছাড়া শুধু গামছা পরে…’, যাদবপুরের সিনিয়রদের ‘দাদাগিরি’ ফাঁস এক পড়ুয়ার

Jadavpur University: টিভি নাইন বাংলায় গোপন জবানবন্দি যাদবপুরের প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের উপর কীভাবে 'দাদাগিরি' চলে সিনিয়রদের? ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জেনে নিন পড়ুয়ার বয়ানে...

Jadavpur Student Death: 'ফ্রেশার্সের দিন জামা-প্যান্ট ছাড়া শুধু গামছা পরে...', যাদবপুরের সিনিয়রদের 'দাদাগিরি' ফাঁস এক পড়ুয়ার
প্রতীকী ছবিImage Credit source: টিভি নাইন বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 12, 2023 | 6:54 PM

কলকাতা: যাদবপুরের মেন হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে স্বপ্নদীপের মৃত্যু ঘিরে ক্রমেই জোরালো হচ্ছে র‌্যাগিং-এর তত্ত্ব। ইতিমধ্যেই হস্টেলের আবাসিকদের একটি চ্যাট ভাইরাল হয়েছে। আর এবার টিভি নাইন বাংলায় গোপন জবানবন্দি যাদবপুরের প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের উপর কীভাবে ‘দাদাগিরি’ চলে সিনিয়রদের? ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জেনে নিন পড়ুয়ার বয়ানে…

‘হস্টেলের সিনিয়র দাদারা আমাদের বলেছেন চুল ছোট ছোট করে কাটতে হবে। প্রথম বর্ষের পড়ুয়া, যাঁরা হস্টেলে প্রথম আসে… তাঁদের এইভাবেই চুলের কাটিং করতে হবে। বড় চুল রাখা যাবে না। দাঁড়ি-গোঁফ কিছুই রাখা যাবে না। সিনিয়র দাদাদের রুমে গেলেই তাঁদের ইন্ট্রো দিতে হবে। সিনিয়রদের সব কাজ করে দিতে হবে। সব ফাই-ফরমাশ শুনতে হবে, যখন যা বলবেন। জল ভরে দেওয়া, বিড়ি-সিগারেট এনে দেওয়া… এই সবই করতে হয় আমাদের।’

‘আমাদের বলে দেওয়া হয়েছে, হস্টেলে শুধুমাত্র নিজের ঘরেই হাফ প্যান্ট পরে থাকা যাবে। নিজের ঘর ছাড়া হস্টেলের মধ্যে সবসময় ফুল জামা, ফুল প্যান্ট পরে থাকতে হবে। শুধু রুমের মধ্য়েই হাফ প্যান্ট পরার অধিকার রয়েছে আমাদের। কিন্তু ডাইনিং রুমে বা হস্টেলের অন্যত্র হাফ প্যান্ট পরে ঘোরা চলবে না। হস্টেলে আমরা সবসময় ফোনও ব্যবহার করতে পারি না। যখন আমরা রুমে থাকি, তখনই শুধু ফোন ব্যবহার করতে পারি। ঘরের থেকে বেরোলে বা সিনিয়রদের সামনে আমাদের ফোন ব্যবহারের অনুমতি নেই। বলে দেওয়া হয়েছে, সিনিয়রদের সবসময়ে রেসপেক্ট করে চলতে হবে। কোনওভাবেই যেন তাঁদের সামনে গলার স্বর উঁচু না হয়।’

‘হস্টেলে কীভাবে চলতে হবে, হস্টেলে কোন কোন নিয়ম মানতে হবে… তা আমাদের প্রথম দিনই বলে দিয়েছিলেন সিনিয়র দাদারা। হস্টেল পুরোটাই কন্ট্রোল করেন সিনিয়র দাদারা। স্বপ্নদীপের সঙ্গে এমন একটা ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি। অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছি। কিন্তু খুব ভয়ে রয়েছি। কারণ, আমাদের তো টিকে থাকতেই হবে। এসব সহ্য না করলে তো টিকতে পারব না।’

‘আমাদের বলা হয়েছে, ফ্রেশার্সের দিন নাকি আমরা ‘স্বাধীনতা’ পাব। ওদিন আমাদের জামা-প্যান্ট ছাড়া শুধু গামছা পরে সিনিয়র দাদাদের সামনে যেতে হবে।’

কথাগুলো বলতে গিয়ে বার বার গলা কেঁপে উঠল প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়ার।