Abhishek Banerjee: ‘এদের দাদুরা কম্পিউটারের বিরুদ্ধে, বাবারা ইংরেজির, ছেলেরা সিসিটিভির বিরুদ্ধে’, বামপন্থীদের কটাক্ষ অভিষেকের
Abhishek Banerjee on Jadavpur University: শুধু অ্যান্টি র্যাগিং সেল নয় পাশপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানোর বিরোধীতাকে কটাক্ষ করে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনকে আক্রমণ করেন অভিষেক।

কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের জেরে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই প্রশ্নের মুখে ওঠে নিরাপত্তা। হস্টেলে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই কেন সেই নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। পাশাপাশি র্যাগিং নিয়েও সরব হন সকলে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তৈরি চালু করা হয় ‘অ্যান্টি র্যাগিং সেল’। প্রত্যেকটি জেলায় অতিরিক্ত জেলাশাসক এডুকেশন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ডিস্ট্রিক্ট এডুকেশন অফিসার এই সেলে থাকবেন। এ দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল ছাত্র যুবর সমাবেশে যাদবপুরের সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি সরকার অ্যান্টি র্যাগিং সেল তৈরি করেছে সেই বিষয়ও জানিয়ে দেন।
শুধু অ্যান্টি র্যাগিং সেল নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানোর বিরোধিতাকে কটাক্ষ করে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনকে আক্রমণ করেন অভিষেক। বলেন, “যারা কথায়-কথায় হাইকোর্টে যায়। বলে সিসিটিভি লাগাতে হবে বুথে। তারা বলছে কলেজ চত্বরে সিসিটিভি লাগানো যাবে না।” ব্যঙ্গের সুরে বলেন, “আসলে এটা বংশগত পরম্পরা। এদের দাদুরা কম্পিউটারের বিরুদ্ধে, বাবারা ইংরেজির বিরুদ্ধে, ছেলেরা সিসিটিভির বিরুদ্ধে।” অভিষেকের স্পষ্ট বার্তা, “আমরা সিসিটিভি লাগাবই। কোনও পড়ুয়ার প্রাণ যাবে না।”
প্রসঙ্গত, যাদবপুরে সিসিটিভি বসবে কি না সেই নিয়ে বিতর্ক জিইয়ে ছিল। একাংশের মতে, সিসিটিভি-র নজরদারি থাকলে হয়ত কিছু ক্ষেত্রে এই ধরনের র্যাগিং আটকানো যেত। তবে একাংশের আপত্তি ছিলই। SFI নেত্রী শিল্পী আফরিন বলেছিলেন,”অপরাধকে ঠেকানোর জন্য ক্যাম্পাসে যা যা গঠনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সেগুলো আমরা অবশ্যই করছি। কিন্তু আমরা সিসিটিভি বসানোর বিরোধিতা করি। একজন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তার জন্য অপরাধীরা শাস্তি পাক। কিন্তু তদন্তের মোড় ঘোরাতে যেভাবে আমাদের উপর নজরদারি রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে তার নিন্দা জানাই।” যদিও, বিতর্ক হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় সেখানে সিসিটিভি বসছে।
