কলকাতা: রাজনীতির ময়দানে নামার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দাবি করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ লক্ষ ভোটে হারানোর ক্ষমতা রাখেন তিনি। তবে এ কথা শুনে বিশেষ উদ্বিগ্ন নন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ ভোটে লড়াই করতে পারেন। এ বিষয়ে তাঁর কিছু বলার নেই। তবে বিচারপতি থাকাকালীন কি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়? সেই প্রশ্নই তুলেছেন অভিষেক।
মঙ্গলবার বিচারপতি পদে ইস্তফা দেওয়ার পর অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ৪-৫ দিন আগে থেকে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয় তাঁর। সেই কারণে গত কয়েকদিন ছুটি নিয়েছিলেন, যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারেন। এই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “ওঁর কথায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে উনি যখন বিচারপতির আসনে বসে রায় দিয়েছেন, তখন বিজেপির সঙ্গে ওঁর যোগাযোগ ছিল। সত্যিটা বলেছেন বলে ওঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
মঙ্গলবার গোটা সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেকের নাম নেননি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি বলেন, “আমি দেখিয়ে দেব তাঁর দুর্বৃত্ত দলকে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়। ডায়মন্ড হারবারে তাঁর দুর্বৃত্ত দল রয়েছে। তাঁকে আমি লক্ষ-লক্ষ ভোটে হারাব।”
উল্লেখ্য, কারও নাম না করলেও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিচারপতি থাকাকালীন বিচার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক। এসএসকেএমে কয়েকজন আহত তৃণমূল সমর্থককে দেখতে গিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, “কলকাতা হাইকোর্টের একজন বিচারপতির জন্য গোটা বিচার ব্যবস্থা কলুষিত হচ্ছে।” তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে প্রবল সমালোচনা হল আইনজীবী মহলে। অন্যদিকে, এক সাক্ষাৎকারে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ও দাবি করেছিলেন, বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য কড়া পদক্ষেপ করতে পারতেন অভিষেকের বিরুদ্ধে। এমনকী অভিষেকের সম্পত্তি জানানোর চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়।