
কলকাতা: কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেনজির আক্রমণের পর ফুঁসে উঠলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। ঘাঁটলেন অতীত। যা দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ মনে করছেন গোটা ঘটনা ছাব্বিশের ভোটের আগে শাসকদলের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়াবে। তবে কী দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানাবেন সৌগত? তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ বলছেন, “কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ব্যর্থ আইনজীবী।আমি মনে করি কল্যাণকে সরিয়ে দেওয়া উচিত চিফ হুইপ থেকে। এখন ওকে সরানোর ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা সিদ্ধান্ত নেবে তা আমরা মেনে চলব।” কিন্তু, অভিযোগ কী জানাবেন?
নির্দিষ্ট করে কিছু না বললেও, সৌগত শুধু বললেন, “সবাই চেয়েছিল দলনেত্রীকে জানানো হোক। এখন যেভাবে সংবাদমাধ্যমে এসেছে তাতে দলনেত্রী জানতে পারবেন। দ্রুত হস্তক্ষেপ করবেন কি করবেন এটা আমি বলতে পারি না। আমার মত কল্যাণকে চিফ হুইপ পদে রাখা উচিত নয়।” সঙ্গে এও বললেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলটাকে একটা জায়গায় আনার চেষ্টা করছিলেন। একটা সেপ দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেখানে এই ধরনের মন্তব্য করে দলটাকে নষ্ট করা হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতা অমিত মালব্যের একটি পোস্টেই ব্যাপক শোরগোল বঙ্গ রাজনীতির অলিতেগলিতে। নির্বাচনের কমিশনের দফতরে তৃণমূলের দুই সাংসদের ঝামেলা ঘিরেই যত ঘটনার সূত্রপাত। তাঁদের বাগবিতণ্ডা নিয়ে চর্চা যখন তুঙ্গে তখন সাংবাদিক বৈঠক করে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেল শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ে। ফাটালেন বোমা। সৌগতকে কাঠগড়ায় তুলে বললেন, “দলের ভাবমূর্তি অনেক কারণে নষ্ট হয়। সৌগত রায়ের জন্য নষ্ট হয়নি? সৌগতর নারদার টাকা খাওয়ার জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়নি? সৌগত যদিও বলছেন, “আমাদের সাংসদদের মধ্যে আমার, কাকলি ঘোষদস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়দের মতো নেতাদের বিরুদ্ধে নারাদা কেসে সিবিআই মামলা করেছিল। অনেক বছর হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, আজ পর্যন্ত সিবিআই কোনও চার্জশিট দেয়নি। ফলে এখন কল্যাণ শুধু নারদা চোর বলে আমাদের আক্রমণ করেনি, পার্টিরও ক্ষতি করেছে।”