Calcutta High Court: সেক্সটরশন মামলার তদন্তভার গেল এডিজি সাইবারের হাতে, খতিয়ে দেখবেন এক্সপার্ট অফিসাররা
Cyber Crime: রাজ্যের তরফে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে আবেদন করা হয়, এক্সপার্ট অফিসারদের দিয়ে সিআইডিকে এই তদন্ত করতে দেওয়া হোক। সেই আবেদনের ভিত্তিতে, ওই সাইবার অপরাধের মামলা এডিজি সাইবারকে হস্তান্তর করেছে হাইকোর্ট। প্রয়োজনে সিট গঠন করারও পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি।
কলকাতা: সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় আরও তৎপর রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় রাজ্যের তরফে সিআইডি-র অন্দরে এডিজি, সাইবার পদ তৈরি করা হয়েছে। সাইবার অপরাধের এক মামলায় সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে একথা জানাল রাজ্য। রাজ্যের তরফে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে আবেদন করা হয়, এক্সপার্ট অফিসারদের দিয়ে সিআইডিকে এই তদন্ত করতে দেওয়া হোক। সেই আবেদনের ভিত্তিতে, ওই সাইবার অপরাধের মামলা এডিজি সাইবারকে হস্তান্তর করেছে হাইকোর্ট। প্রয়োজনে সিট গঠন করারও পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি। পুজোর আগেই এই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, হুগলির এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছিলেন। সেক্সটরশনের ফাঁদে পড়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকা খুইয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এরপরও প্রতারকদের চাপ বন্ধ হয়নি বলে দাবি। অভিযোগ, টানা চাপের মধ্যে পড়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। সেই মামলায় এদিন রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, তারা এই সেক্সটরশন সংক্রান্ত প্রতারণার জাল ছিঁড়তে নতুন পদ তৈরি করেছে। সিআইডিতে এডিজি সাইবার-এর পদ।
উল্লেখ্য, এই পদটি অবশ্য আগেই তৈরি করা হয়েছিল। যার দায়িত্বে বর্তমানে রয়েছেন হরিকিশোর কুসুমাকার। রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, তাঁর নেতৃত্বে সিট গঠন করার পরিকল্পনা রয়েছে। রাজ্যের বক্তব্য, এই ধরনের প্রতারণার জাল সারা দেশেই ছড়িয়ে আছে। সেই কারণে এক্সপার্ট অফিসারদের দিয়ে তদন্ত করতে চান তাঁরা।
এমন অবস্থায় আজ রাজ্যের আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ওই মামলার তদন্তভার সিআইডির এডিজি সাইবার-কে হস্তান্তর করার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, জেলা পুলিশের যে অফিসাররা এই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরানো যাবে না।