AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Adhir Chowdhury: ‘এরা ভোটব্যাঙ্ক নয়, নইলে এতদিনে চাকরি পেয়ে যেত’, তোপ অধীরের

Adhir Chowdhury: এ দিন বিক্ষোভরত চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন অধীর। আন্দোলনকারীদের তিনি জানিয়েছেন, নিজেদের সাধ্যমতো চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে কংগ্রেস এই আইনি লড়াই লড়বে।

Adhir Chowdhury: 'এরা ভোটব্যাঙ্ক নয়, নইলে এতদিনে চাকরি পেয়ে যেত', তোপ অধীরের
ছবি: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: May 19, 2022 | 2:51 PM
Share

কলকাতা: এসএসসিতে (SSC) বেআইনিভাবে নিয়োগ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। দীর্ঘ টালবাহানার পর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গতকালই সিবিআই জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা তৃণমূলের মহাসচিবকে জেরা করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়ো রোডের গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভরত এসএসসি ও এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীদের অবস্থান মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। গান্ধীমূর্তির দুদিকে দুটি বিক্ষোভ মঞ্চ তৈরি করে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এদিন দুটি মঞ্চে গিয়ে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন অধীর, পাশাপাশি তাদের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে। সেন্ট্রাল পার্ক, প্রেস ক্লাব, গান্ধীমূর্তি মিলিয়ে ৪৩১ দিন ধরে চাকরিপ্রার্থীদের এই অবস্থান চলছে। চাকরিপ্রার্থীদের মূল দাবি, তাদের দ্রুত নিয়োগ করুক রাজ্য সরকার।

এ দিন বিক্ষোভরত চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন অধীর। আন্দোলনকারীদের তিনি জানিয়েছেন, নিজেদের সাধ্যমতো চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে কংগ্রেস এই আইনি লড়াই লড়বে। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন অধীর। অধীরের দাবি, বিক্ষোভরত চাকরি প্রার্থীরা যেদিন থেকে প্যানেল ভুক্ত হয়েছেন সেদিন থেকে তাদের বেতন দিতে হবে। প্রসঙ্গত, ঈদের দিনই বিক্ষোভরত চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি দাওয়া খতিয়ে দেখতে সরকারি আধিকারিকরাও আন্দোলন মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন।

অধীর বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিৎ এদের কাছে ক্ষমা চেয়ে হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে জমা হয়ে এরা লড়াই করছেন। এদের হাতে কোনও ভোট ব্যাঙ্ক নেই, থাকলে এতদিনে এরা নিয়োগপত্র পেয়ে যেত। রাজ্যের এক মন্ত্রী পলাতক, অপর মন্ত্রী হাঁপাতে হাঁপাতে সিবিআই জেরা মুখোমুখি হয়েছেন। রাজ্য সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা এমন তলানিতে এসে পৌঁছে যে মাঝরাতে শুনানি করতে বাধ্য হয়েছে কলকাতা আদালত, এমনকী প্রমাণ লোপাটের ভয়ে রাজ্য সরকারি দফতরে সিআরপিএফ দিয়ে ঘিরে রাখতে হচ্ছে। মা-বোনরা যোগ্যতা প্রমাণ করেছে, এটাই এদের অপরাধ।”