Adhir Ranjan Chowdhury: সাধন পাণ্ডের শূন্য আসনে ভোট নয় কেন? প্রশ্ন তুলে কমিশনকে চিঠি অধীরের

Adhir Ranjan Chowdhury: মানিকতলা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা সাধন পাণ্ডে। রাজ্যের মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ২০২২-এর ফেব্রুয়ারি মাসে মৃত্যু হয় সাধন পাণ্ডের।

Adhir Ranjan Chowdhury: সাধন পাণ্ডের শূন্য আসনে ভোট নয় কেন? প্রশ্ন তুলে কমিশনকে চিঠি অধীরের
অধীর চৌধুরী (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 23, 2023 | 7:41 PM

কলকাতা : তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গেই এ রাজ্যের একটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচনের (By Election) কথা ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সেই ঘোষণা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে উপ নির্বাচন ঘোষণা করা হলেও মানিকতলায় ভোটের কথা ঘোষণা করা হল না কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মানিকতলা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা সাধন পাণ্ডে। রাজ্যের মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ২০২২-এর ফেব্রুয়ারি মাসে মৃত্যু হয় সাধন পাণ্ডের। তারপর অনেকগুলো মাস কেটে গিয়েছে। অন্যদিকে, গত বছরের ডিসেম্বরে মৃত্যু হয়েছে সাগরদিঘি কেন্দ্রের বিধায়ক সুব্রত সাহার।

অধীর চৌধুরীর দাবি, সুব্রত সাহার অনেক আগে সাধন পাণ্ডের মৃত্যু হওয়া সত্ত্বেও কেন, সেই কেন্দ্রে ভোট ঘোষণা করা হল না কেন? এই প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। তিনি আবেদনে জানিয়েছেন, দুই কেন্দ্রেরই একই অবস্থা। তাই নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁর অনুরোধ, যাতে দুই কেন্দ্রের ক্ষেত্রে একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সূত্রের খবর, মানিকতলা কেন্দ্রের ক্ষেত্রে মামলা জটে আটকে রয়েছে নির্বাচন, তাই এক বছর হতে চললেও এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে কার্যত অভিভাবকহীন মানিকতলার সাধারণ মানুষ।

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে মানিকতলা থেকে ২০ হাজার ২৩৮ ভোটে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী সাধন পাণ্ডে। বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে হারান তিনি। তার দু’মাস পরে ৪ জুলাই ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগের সঙ্গে পুর্নগণনার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন কল্যাণ চৌবে। তিনি দাবি করেন, ২ মে ফল ঘোষণার পরপরই নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল বিজেপির তরফে। এখনও সেই মামলা বিচারাধীন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে মামলাটি শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসে। কমিশন সূত্রের খবর, সেই মামলার নিষ্পত্তির পরই ওই এলাকায় ভোটের ঘোষণা হবে।