CBI: ‘আপনার একটা বউ না দু’টো বউ?’, মদনকে প্রশ্ন সিবিআইয়ের
Madan Mitra: পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যে সমস্ত পুরসভা সিবিআইয়ের নজরে, তার মধ্যে অন্যতম কামারহাটি পুরসভা। তারই তদন্তে এদিন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। দীর্ঘক্ষণ পর সিবিআইয়ের আধিকারিকরা বেরিয়ে যেতেই, কালো পাঞ্জাবিতে বেরিয়ে আসেন বাড়ির গলি ধরে।
কলকাতা: ছুটির দিনে মদন মিত্রের বাড়িতে সিবিআই হানা। সাড়ে ৫ ঘণ্টা তল্লাশি শেষে তাঁর বাড়ি থেকে বেরিয়েও যান তদন্তকারীরা। আর সিবিআই বেরোতেই স্বমেজাজে সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির হলেন ‘কালারফুল’ মদন। কী জানতে চাইল সিবিআই? প্রশ্ন শুনেই মদনের জবাব, তাঁর ক’টা বউ প্রশ্ন করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যে সমস্ত পুরসভা সিবিআইয়ের নজরে, তার মধ্যে অন্যতম কামারহাটি পুরসভা। তারই তদন্তে এদিন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। দীর্ঘক্ষণ পর সিবিআইয়ের আধিকারিকরা বেরিয়ে যেতেই, কালো পাঞ্জাবিতে বেরিয়ে আসেন বাড়ির গলি ধরে। কানে ফোন।
মদনের দাবি, যখন পুরসভায় এই চাকরি হয়, সে সময় তিনি বিধায়ক ছিলেন না। বরং সিবিআই কাস্টডিতে ছিলেন। এই অভিযোগে তাঁর নাম জড়ানো তাই ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেন মদন। এরপরই সাংবাদিকরা জানতে চান, কামারহাটি পুরসভা বা অন্য কোনও পুরসভার নিয়োগ নিয়ে কিছু বললেন সিবিআই আধিকারিকরা?
তাতেই মদন মিত্রের জবাব, “অনরেকর্ড আমার কাছে জানতে চায় আপনার একটা বউ না দু’টো বউ? আমি বললাম, সে তো খোঁজ করলেই পাওয়া যাবে। ছানবিন করুন। তবে আমি এটাও বলেছি, বউ অর্থে বলতে পারব না। এটা আমি জানি, আমি হাঁটলে পিছনে ৫০টা গোপিনী হাঁটবে। তবে আমার নামে কোনও ৪৯৮ হয়নি। আমার সব ভার্চুয়াল। কৃষ্ণের এত বান্ধবী থাকতে পারে আমার থাকতে পারে না?”
এদিন মদন বলেন, “আমার অফিস দক্ষিণেশ্বরে। বিধায়কের অফিসে প্রচুর লোক চাকরি চাইতে আসেন। আমরা বলি এগুলোয় হাত নেই। তবু এসে অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে যান। আমরা তো আর সেন্ট্রাল এজেন্সির মতো ধাক্কা মেরে ফেলে দিতে পারি না। যা যা বলেছে করেছি। ওরা লিখে দিয়ে গিয়েছে।” তবে কিছুই সিজ করেনি বলেও জানান মদন।