হুইপ জারি তৃণমূলের, অধিবেশনের প্রথমদিন বাধ্যতামূলক বিধায়কদের উপস্থিতি
West Bengal Assembly: ক্ষমতা প্রদর্শনের কোনও সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না রাজ্যের শাসকদল।
কলকাতা: দুই তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে রেকর্ড মার্জিনে জয়লাভ করে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই ক্ষমতা প্রদর্শনের কোনও সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না রাজ্যের শাসকদল। আগামিকাল বিধানসভা নির্বাচন অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে বৃহস্পতিবার হুইপ জারি করে সমস্ত বিধায়কদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করেছে ঘাসফুল শিবির। সূত্রের খবর, এসএমএস করে প্রত্যেক বিধায়ককে বলা হয়েছে, অধিবেশন শুরুর আগেই যেন প্রত্যেকে নিজের আসনে পৌঁছে যান।
সপ্তদশ বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরুর আগের দিন দিল্লি চলে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু শাসকদল কোনও ভাবেই রাশ আলগা করতে চাইছে না। সেই কথা মাথায় রেখেই হুইপ জারি করা হয়েছে। এসএমএস পাঠিয়ে সমস্ত বিধায়কদের জানানো হয়েছে, আগামিকাল দুপুর ২টোয় রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে অধিবেশন শুরু হবে। তার অন্তত ১৫ মিনিট আগে, অর্থাৎ দুপুর পৌনে ২টোর মধ্যে যেন প্রত্যেক বিধায়ক নিজের নির্ধারিত চেয়ারে পৌঁছে যান। শাসকদলের এই সিদ্ধান্তকে একপ্রকার প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: মমতার অভিযোগের পরদিনই কেন মারা গেলেন জৈন হাওয়ালা কাণ্ডের মাথা? প্রশ্ন তৃণমূলের
বিরোধীদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে রাখা হয়েছে, বিধানসভায় গঠনমূলক সহযোগিতার বদলে সংঘাতের পরিবেশ সৃষ্টি পারে। কারণ, মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেও তাঁর বিরুদ্ধে এখনও দলত্যাগ বিরোধী আইন স্পিকার প্রয়োগ করেননি। কাগজে-কলমে বিজেপির এই বিধায়কের নাম আবার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে বিধানসভাতেও বিরোধিতার আবহ সপ্তমে থাকতে পারে, এমন ইঙ্গিত পেতে শুরু করেছে তৃণমূল। এই অবস্থায় যাতে বেশিরভাগ বিধায়করা হাজির থাকতে পারেন, সেটাই নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ধনখড়ের ছবিতে দেবাঞ্জনের দেহরক্ষী! ‘মাঝে মধ্যে খাম-টাম যেত’, বিস্ফোরক দাবি তৃণমূলের