Aiburo Vaat : লোকাল ট্রেনে আইবুড়ো ভাত! চলন্ত ট্রেনেই কব্জি ডুবিয়ে নয় পদ খেলেন সুমনবাবু
Aiburo Vaat : পূর্বস্থলীর পারুলিয়ার বাসিন্দা ঝর্না সরকারের সঙ্গে বিয়ে সুমনবাবুর। সুমনবাবুর বন্ধুদের এই আয়োজনে খুশির হাওয়া দুই পরিবারেই।
কলকাতা : হাতে আর মাত্র কটা দিন। তারপরেই বাজবে বিয়ের সানাই (Wedding Ceremony)। কিছুদিন আগেই থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে তোড়জোড়। চলছে নিমন্ত্রণ পর্ব। খুশির হাওয়া পূর্বস্থলীর (Purbasthali) পারুলিয়ার সুমন সরকারের পরিবারে গোটা পরিবারে। বিয়ের আগে আইবুড়ো ভাত খাওয়ার রীতি রয়েছে সব বাঙালি পরিবারেই। কখনও বন্ধুবান্ধব, কখনও আত্মীয়স্বজনের বাড়ি, বিয়ের আগে কব্জি ডুবিয়ে আইবুড়ো খেতে দেখা যায় পাত্রপাত্রীদের। কিন্তু, চলন্ত ট্রেনে আইবুড়ো ভাতের আয়োজন দেখেছেন কখনও? শুনতে অবাক লাগলেও এই ছবিই দেখা গেল কাটায়ো-ব্যান্ডেল লোকালে (Katwa-Bandel Local)। ট্রেনেই রোজ কাজ সেরে ফেরেন সুমনবাবু। যাতায়াতের সূত্রে ট্রেনেই বন্ধুত্ব মুশকান, পিয়ালী, বিশ্বজিৎ, সুজিত, বিশুদের সঙ্গে। শুক্রবার কাটোয়া থেকে ব্যান্ডেলগামী লোকাল ধরেছিলেন সুমনবাবু। কিন্তু, তখনও তিনি জানতেন না ট্রেনেই তাঁর জন্য অপেক্ষা বড় সারপ্রাইজ।
ট্রেনেই সুমনবাবুর জন্য আইবুড়ো ভাতের আয়োজন করে ফেলেছিলেন তাঁর বন্ধুবান্ধবরা। একেবারে এলাহি আয়োজন। ট্রেনে উঠতেই উড়ে এল ফুলো। চলল দেদার খাওয়া-দাওয়া। প্রায় ৯টা পদ। এল মটন বিরিয়ানি, ফ্রায়েড রাইস, চিকেন চাপ, মিষ্টি, দই, আরও কত কী। যা দেখে অবাক ট্রেনে থাকা অন্যান্য যাত্রীরা। প্রথমে কি হচ্ছে বুঝতে না পারলেও খানিক পরেই আসল ঘটনা জানতে পেরে তাঁদের খুশিতে যোগ দিলেন তাঁরা। বন্ধুদের থেকে সারপ্রাইজ পেয়ে খুশি সুমনবাবুও। তিনি বলেন, “আমার জন্য এটা সত্যিই বড় পাওনা। এ দৃশ্য দেখে তো ট্রেনে থাকা বাকি যাত্রীরা অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। সবাই খুব আনন্দিতও হয়েছিল। আমার হবু স্ত্রীও এ ঘটনা শুনে খুবই উত্তেজিত। ও তো বলছে আমাকে কেন বললে না। আমাকে তো নিয়ে যেতে পারতে। তাহলে আমিও থাকতে পারতাম।”
পূর্বস্থলীর পারুলিয়ার বাসিন্দা ঝর্না সরকারের সঙ্গে বিয়ে সুমনবাবুর। সুমনবাবুর বন্ধুদের এই অদ্ভূত আয়োজনে খুশির হাওয়া তাঁদের পরিবারেও। অন্যদিকে সুমনবাবুর জন্য চলন্ত ট্রেনে আইবুড়ো ভাতের আয়োজন করতে পেরে খুশি তাঁর বন্ধুরাও। বান্ধবী মুশকান খাতুন বলেন, “আমার বিভিন্ন জায়গায় কাজ করি। ওই ট্রেনেই একসঙ্গে বাড়ি ফিরি। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব। ওর অনেকদিন আগেই বিয়ে ঠিক হয়েছে। আমাদের নিমন্ত্রণও করেছে। নিমন্ত্রণ পাওয়ার পরেই আমরা ওকে আইবুড়ো ভাত খাওয়ানোর কথা ভেবেছিলাম। বন্ধুরা মিলে একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও বানিয়ে ফেলেছিলাম। সেখানেই চলছিল সারপ্রাইজের পরিকল্পনা। তবে এতকিছু জানত না। সুমন। ওকে এইভাবে চমকে দিতে পেরে আমরাও খুব খুশি।”