Aliah University : প্রথম দুই বছর কোনও রাজনৈতিক চাপ ছিল না, তারপর… কীসের ইঙ্গিত দিলেন আলিয়ার উপাচার্য?

Aliah University Controversy: ঘটনার পর থেকে সরকার পক্ষের থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। এমনটাই জানালেন উপাচার্য। TV9 বাংলাকে জানালেন, "সরকার থেকে কেউ খোঁজ নেয়নি। তাঁরা ব্যস্ত জানি। তবে খোঁজ নিলে ভাল লাগত।"

Aliah University : প্রথম দুই বছর কোনও রাজনৈতিক চাপ ছিল না, তারপর... কীসের ইঙ্গিত দিলেন আলিয়ার উপাচার্য?
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আলি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 05, 2022 | 9:44 PM

কলকাতা : এবার আরও বিস্ফোরক আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আলি। কিছুটা অভিমানীও বটে। ঘটনার পর থেকে সরকার পক্ষের থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। এমনটাই জানালেন উপাচার্য। TV9 বাংলাকে জানালেন, “সরকার থেকে কেউ খোঁজ নেয়নি। তাঁরা ব্যস্ত জানি। তবে খোঁজ নিলে ভাল লাগত।” এর পাশাপাশি তাঁর আরও বক্তব্য, “কার্যকালের প্রথম দুই বছর তাঁর উপর কোনও রাজনৈতিক চাপ ছিল না। কিন্তু এর পরবর্তী সময়ে পরিস্থিত বদলে যায়। কোভিড আসে এবং অন্যান্য পরিস্থিতিও বদলে যায়। আমি এতটুকুই বলতে পারি, এর বেশি নয়।” সরাসরি কিছু বললেন না বটে উপাচার্য মহাশয়, কিন্তু কিছু কি ইঙ্গিত দিতে চাইলেন তিনি?

গত দুই বছরে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতিটা ঠিক কেমন ছিল? সেই দৃশ্যটা স্পষ্ট হলেই বিষয়টি কিছুটা অনুমান করা যেতে পারে। বিগত দুই বছর ধরে ক্যাম্পাসে গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলের বাড়াবাড়ি হয়। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অশান্তি পাকানোর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এমনকী সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী উপস্থিত থাকাকালীনই যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, তাঁদের উপর চড়াও হয়েছিল গিয়াসউদ্দিন। পড়ুয়াদের একাংশ অন্তত তেমনই অভিযোগ করছেন। ঠিক এমনই একটি পরিস্থিতির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে মহম্মদ আলিকে। তাহলে কি এই বদলগুলির দিকেই ইঙ্গিত করলেন উপাচার্য?

সাম্প্রতিককালে আলিয়ার পড়ুয়াদের একাংশ যে অডিয়ো ক্লিপগুলি প্রকাশ্যে এনেছেন, তাতে একটি ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিতের তত্ত্ব আরও জোরালো হয়েছে। একাধিক প্রথম সারির তৃণমূল নেতার নাম উঠে এসেছে। তাহলে কি পুরো বিষয়টাই পূর্ব পরিকল্পিত? তেমন কিছুই কি ইঙ্গিত করতে চাইলেন উপাচার্য? এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে। তবে উপাচার্য মহাশয় জানিয়েছেন, তিনি জিম নওয়াজকে চেনেন না। পাশাপাশি, তিনি যে মানসিকভাবে ভীষণরকম ভেঙে পড়েছেন, তাও তাঁর কথা থেকে স্পষ্ট। জানালেন, তিনি আর কোনওভাবেই উপাচার্য থাকতে চান না। তবে পড়ুয়ারা যদি তাঁর কাছে আসে, তবে তিনি ক্ষমা করে দেবেন।

আরও পড়ুন : Anubrata Mondal: সিবিআই না এসএসকেএম না কালীঘাট? কলকাতার উদ্দেশে ‘কেষ্টর’ রওনায় জোর জল্পনা!