AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

IAS অফিসারের স্ত্রীকে গান পয়েন্টে ধর্ষণের অভিযোগ, আরজি কর-কাণ্ডের পর ফের বিজেপির নিশানায় রাজ্য প্রশাসন

IAS officer's Wife: শুক্রবার অভিযুক্তের জামিন এবং আগাম জামিন খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার এক মহিলা পুলিশ আধিকারিককে মামলা হস্তান্তর করা হচ্ছে।

IAS অফিসারের স্ত্রীকে গান পয়েন্টে ধর্ষণের অভিযোগ, আরজি কর-কাণ্ডের পর ফের বিজেপির নিশানায় রাজ্য প্রশাসন
প্রতীকী ছবিImage Credit: Pixabay
| Edited By: | Updated on: Sep 28, 2024 | 12:42 PM
Share

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের পর আরও এক অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য। আইএএস অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যে মামলা হয়েছে, তাতে পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের মতো অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরও কেন মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আদালতে। গত জুলাই মাসের সেই ঘটনায় অভিযুক্ত নিম্ন আদালতের নির্দেশে জামিনে ছিলেন। শুক্রবার সেই জামিনের নির্দেশ বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তদন্তকারী অফিসারও বদল করা হয়েছে। এই নির্দেশের পর ফের একবার রাজ্য সরকারের দিকে সরাসরি আঙুল তুলল বিরোধীরা। বিজেপির দাবি, আরজি করের ঘটনার মতোই এ ক্ষেত্রেও প্রমাণ সরিয়ে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল।

গত জুলাই মাসে লেক থানা এলাকায় ওই ধর্ষনের অভিযোগ ওঠে। রাজ্যের বাইরে কর্মরত এক আইএএস অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ ছিল, যৌন নির্যাতনের মত গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্বেও প্রাথমিকভাবে লঘু ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগ নিয়েই মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে সঠিক ধারায় এফআইআর দায়ের না হওয়া এবং অভিযোগ পত্র বিকৃত করার যে অভিযোগ উঠছে, তার ফলে এই তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।’

বিচারপতি ভরদ্বাজ তাঁর পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছেন, নির্যাতিতাকে অভিযুক্তের পরিবার যেভাবে থানায় বসে হুমকি দিয়েছিল, সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে কোনও তদন্ত হয়নি।

শুক্রবার অভিযুক্তের জামিন এবং আগাম জামিন খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার এক মহিলা পুলিশ আধিকারিককে মামলা হস্তান্তর করা হচ্ছে। এছাড়া লেক থানার ওসি, একজন সাব ইন্সপেক্টর, একজন সার্জেন্ট এবং তিন মহিলা পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে।

হাইকোর্টের সেই নির্দেশের পর রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স মাধ্যমে লিখেছেন, “লালু প্রসাদের আমলে বিহারে এক আইএএস অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল, এবার সেই একই অভিযোগ উঠেছে পশ্চিমবঙ্গে। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও লালু প্রসাদ যাদব, দুজনেই বর্তমানে ইন্ডিয়া জোটের অংশ।” এই ঘটনা প্রসঙ্গেই আরজি কর কাণ্ডের সঙ্গেও তুলনা টেনেছেন অমিত মালব্য।

উল্লেখ্য, আদালতে রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছে, অভিযোগ জানানোর দিল লেক থানায় কোনও মহিলা তদন্তকারী আধিকারিক উপস্থিত না থাকায় কড়েয়া থানা থেকে একজন মহিলা আধিকারিককে ডেকে পাঠানো হয়। তিনি নির্যাতিতা মহিলার বয়ান ভিডিয়ো রেকর্ড করেন। রাজ্যের আরও দাবি, নির্যাতিতা মহিলা নিজে থেকে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে যে মেডিক্যাল পরীক্ষা করিয়েছিলেন, সেই রিপোর্ট পুলিশকে দিয়েছিলেন। সেখানে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের উল্লেখ থাকলেও কোথাও কোনও রক্তক্ষরণের কথা উল্লেখ করা ছিল না।