কলকাতা: আনিস খানের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া ঘিরেও তৈরি হল ধোঁয়াশা। বিতর্কের সূত্রধর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশিকা। ২০১৯ সালের এপ্রিলে ‘কাস্টডিয়াল ডেথ’-এ ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে দু’টি নিয়ম মানার জন্য নির্দেশিকা জারি করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তাতে বলা হয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য তিন সদস্যের বোর্ড গড়তে হবে। সেই কমিটির তিন সদস্য তিনটি ভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের বিশেষজ্ঞ হবেন। বোর্ডের তিন সদস্য একই মেডিকেল কলেজের হলে সিনিয়রের সিদ্ধান্তে তাঁর জুনিয়র প্রভাবিত হতে পারেন। তাই সদস্যেরা ভিন্ন মেডিকেল কলেজের হলে বোর্ডের সদস্যদের স্বাধীন সত্ত্বা বজায় রেখে কাজ করতে সুবিধা হবে। নির্দেশিকার দ্বিতীয় বক্তব্য ছিল, তিন সদস্য এমডি ফরেন্সিক মেডিসিনের পাশাপাশি ময়নাতদন্তে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
ফরেন্সিক মেডিসিনের সরকারি চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, আনিসের বাড়িতে পুলিশের উপস্থিতিতে তাঁর মৃত্যু জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশিকা কার্যকর করার প্রেক্ষিত তৈরি করেছে। সোমবার স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়, ময়নাতদন্তে তিন সদস্যের বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের সদস্যেরা হলেন এসএসকেএমের ফরেন্সিক মেডিসিনের চিকিৎসক ইন্দ্রাণী দাস, আরজি করের চিকিৎসক সোমনাথ দাস এবং কলকাতা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সুকুল। স্বাস্থ্য ভবন একথা বললেও বোর্ডে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেননি চিকিৎসক সোমনাথ দাস এবং বিশ্বজিৎ সুকুল।
ঘটনাচক্রে, কারা আনিসের ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত তা স্পষ্ট করেনি এসএসকেএম কর্তৃপক্ষও। এমনকী, চিকিৎসক ইন্দ্রাণী দাস ছাড়া অন্য দুই সদস্যের এমডি ফরেন্সিক মেডিসিনের পাশাপাশি পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে কি না তাও স্পষ্ট করা হয়নি। এ ব্যাপারে এসএসকেএমের ফরেন্সিক মেডিসিনের চিকিৎসক ইন্দ্রানী দাসের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “যাবতীয় নিয়ম মেনে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।” তিন সদস্যের দলে অন্য দুই চিকিৎসক কারা ছিলেন? ইন্দ্রাণীদেবী বলেন, “এটা কনফিডেন্সিয়াল বিষয়। রিপোর্টে সবিস্তার তথ্য রয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে তা জানানো সম্ভব নয়। এ নিয়ে আর কিছু জানার থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন।”
এসএসকেএমের অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি ছুটিতে রয়েছেন। আর স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য হল, আনিসের মৃত্যুকে ‘কাস্টডিয়াল ডেথ’ বলা যাবে কি না তা নিয়ে আইনি ব্যাখ্যা প্রয়োজন। কারণ ‘কাস্টডিয়াল ডেথ’এর সংজ্ঞা আনিসের মৃত্যুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আর সংশয় রয়েছে বলেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশিকা লাগু করার বিষয়টি এড়ানো গিয়েছে। তাই যদি হয় তাহলে তিন সদস্যের চিকিৎসক দল কেন ময়নাতদন্ত করলেন? কেনই বা এসএসকেএম, আরজি কর, কলকাতা মেডিকেল কলেজের তিন চিকিৎসককে নিয়ে তিন সদস্যের বোর্ড গঠন করার কথা জানাল স্বাস্থ্য ভবন? এসএসকেএমের চিকিৎসক ইন্দ্রাণী দাসের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশিকা মানা হয়েছে কি না। আনিসের মৃত্যুর ক্ষেত্রে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশিকা প্রযোজ্য নয়, এ কথা তিনিও বলেননি। আর প্রশ্ন পাল্টা প্রশ্নের এই আবহেই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
আরও পড়ুন: Newtown: অর্ধেক পোশাক নেই মেয়েটির শরীরে, কম্বলের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে ছেলের মুখ! মাকে প্রশ্ন করতেই…
আরও পড়ুন: TMC Meeting: সামনে পঞ্চায়েত! আগামী সপ্তাহেই তৃণমূল স্তরে খোলনলচে বদলাতে পারেন মমতা
কলকাতা: আনিস খানের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া ঘিরেও তৈরি হল ধোঁয়াশা। বিতর্কের সূত্রধর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশিকা। ২০১৯ সালের এপ্রিলে ‘কাস্টডিয়াল ডেথ’-এ ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে দু’টি নিয়ম মানার জন্য নির্দেশিকা জারি করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তাতে বলা হয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য তিন সদস্যের বোর্ড গড়তে হবে। সেই কমিটির তিন সদস্য তিনটি ভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের বিশেষজ্ঞ হবেন। বোর্ডের তিন সদস্য একই মেডিকেল কলেজের হলে সিনিয়রের সিদ্ধান্তে তাঁর জুনিয়র প্রভাবিত হতে পারেন। তাই সদস্যেরা ভিন্ন মেডিকেল কলেজের হলে বোর্ডের সদস্যদের স্বাধীন সত্ত্বা বজায় রেখে কাজ করতে সুবিধা হবে। নির্দেশিকার দ্বিতীয় বক্তব্য ছিল, তিন সদস্য এমডি ফরেন্সিক মেডিসিনের পাশাপাশি ময়নাতদন্তে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
ফরেন্সিক মেডিসিনের সরকারি চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, আনিসের বাড়িতে পুলিশের উপস্থিতিতে তাঁর মৃত্যু জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশিকা কার্যকর করার প্রেক্ষিত তৈরি করেছে। সোমবার স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়, ময়নাতদন্তে তিন সদস্যের বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের সদস্যেরা হলেন এসএসকেএমের ফরেন্সিক মেডিসিনের চিকিৎসক ইন্দ্রাণী দাস, আরজি করের চিকিৎসক সোমনাথ দাস এবং কলকাতা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সুকুল। স্বাস্থ্য ভবন একথা বললেও বোর্ডে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেননি চিকিৎসক সোমনাথ দাস এবং বিশ্বজিৎ সুকুল।
ঘটনাচক্রে, কারা আনিসের ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত তা স্পষ্ট করেনি এসএসকেএম কর্তৃপক্ষও। এমনকী, চিকিৎসক ইন্দ্রাণী দাস ছাড়া অন্য দুই সদস্যের এমডি ফরেন্সিক মেডিসিনের পাশাপাশি পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে কি না তাও স্পষ্ট করা হয়নি। এ ব্যাপারে এসএসকেএমের ফরেন্সিক মেডিসিনের চিকিৎসক ইন্দ্রানী দাসের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “যাবতীয় নিয়ম মেনে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।” তিন সদস্যের দলে অন্য দুই চিকিৎসক কারা ছিলেন? ইন্দ্রাণীদেবী বলেন, “এটা কনফিডেন্সিয়াল বিষয়। রিপোর্টে সবিস্তার তথ্য রয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে তা জানানো সম্ভব নয়। এ নিয়ে আর কিছু জানার থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন।”
এসএসকেএমের অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি ছুটিতে রয়েছেন। আর স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য হল, আনিসের মৃত্যুকে ‘কাস্টডিয়াল ডেথ’ বলা যাবে কি না তা নিয়ে আইনি ব্যাখ্যা প্রয়োজন। কারণ ‘কাস্টডিয়াল ডেথ’এর সংজ্ঞা আনিসের মৃত্যুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আর সংশয় রয়েছে বলেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশিকা লাগু করার বিষয়টি এড়ানো গিয়েছে। তাই যদি হয় তাহলে তিন সদস্যের চিকিৎসক দল কেন ময়নাতদন্ত করলেন? কেনই বা এসএসকেএম, আরজি কর, কলকাতা মেডিকেল কলেজের তিন চিকিৎসককে নিয়ে তিন সদস্যের বোর্ড গঠন করার কথা জানাল স্বাস্থ্য ভবন? এসএসকেএমের চিকিৎসক ইন্দ্রাণী দাসের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশিকা মানা হয়েছে কি না। আনিসের মৃত্যুর ক্ষেত্রে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশিকা প্রযোজ্য নয়, এ কথা তিনিও বলেননি। আর প্রশ্ন পাল্টা প্রশ্নের এই আবহেই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
আরও পড়ুন: Newtown: অর্ধেক পোশাক নেই মেয়েটির শরীরে, কম্বলের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে ছেলের মুখ! মাকে প্রশ্ন করতেই…
আরও পড়ুন: TMC Meeting: সামনে পঞ্চায়েত! আগামী সপ্তাহেই তৃণমূল স্তরে খোলনলচে বদলাতে পারেন মমতা