Anubrata Mondal: চারটে লাইনের একটা চিঠি… বিড়ম্বনার পর সুব্রত বক্সীর মাধ্যমে দলকে কী জানালেন অনুব্রত?
Anubrata Mondal: চারটি লাইনের একটি চিঠি। সেই চিঠির তৃতীয় লাইনেই লেখা, 'সাম্প্রতিক ঘটনার জন্য আমি সামগ্রিকভাবে সমস্ত স্তরের কাছে নিঃশর্তভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।' দলের বর্ষীয়ান নেতার কাছে চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন অনুব্রত।

কলকাতা: বোলপুরের আইসি-কে ফোনে কদর্য ভাষায় গালিগালাজ তৃণমূল নেতা তথা বীরভূমের কোর কমিটির সদস্য অনুব্রত মণ্ডলের। কথোপকথনের অডিয়ো রেকর্ডিং সামনে আনেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(যদিও তা যাচাই করে দেখেনি TV9 বাংলা)। আর তা নিয়েই শুক্রবার তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। পুলিশ অফিসারকে হেনস্থা করা ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগে ইতিমধ্যেই বোলপুর থানায় তলব করা হয় কেষ্টকে। থানার নোটিস কেষ্টর কাছে। কিন্তু দল? দলের তরফে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বেঁধে দেওয়া হয় ৪ ঘণ্টার সময়সীমা। ২ ঘণ্টার মধ্যেই অনুব্রতর সাফাই, “সত্যিই দুঃখিত। ১০০ বার ক্ষমা চাইতে রাজি।” এবার সরাসরি তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রত বক্সীকে চিঠি লিখলেন অনুব্রত।

সুব্রত বক্সীকে লেখা চিঠি
চারটি লাইনের একটি চিঠি। সেই চিঠির তৃতীয় লাইনেই লেখা, ‘সাম্প্রতিক ঘটনার জন্য আমি সামগ্রিকভাবে সমস্ত স্তরের কাছে নিঃশর্তভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।’ দলের বর্ষীয়ান নেতার কাছে চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন অনুব্রত।
এর পর দলের নির্দেশে পুলিশের কাছেও নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চেয়েছেন অনুব্রত। মেনে নিলেন ভাইরাল হওয়া অডিয়ো ক্লিপ ‘অনুব্রত মণ্ডল বলছি’ বলে যে কণ্ঠ শোনা গিয়েছে, সেটা তাঁরই। দল তাঁকে চার ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের কাছে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তিনি নির্দেশ পাওয়ার ৫০ মিনিটের মধ্যেই ভিডিয়োবার্তায় ক্ষমা চান। অনুব্রতর সাফাই, “আমি নিজের রাগ সামলাতে পারিনি। আমি এই কথা বলেছি। সে জন্য আমি দুঃখিত।”

