AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Anubrata Mondal: বেকসুর খালাস হয়েই কেষ্ট বললেন, ‘অন্যায় কিছু করেছি নাকি? দেখতে থাকুন শুধু…’,

Anubrata Mondal: বস্তুত, রাখীর দিন গ্রেফতার হন বীরভূমের বাহুবলী। সেই গ্রেফতারির পর তাঁর শারীরিক পরিভাষা কিছুটা হলেও বদলে গিয়েছিল।

Anubrata Mondal:  বেকসুর খালাস হয়েই কেষ্ট বললেন, 'অন্যায় কিছু করেছি নাকি? দেখতে থাকুন শুধু...',
অনুব্রত মণ্ডল
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2022 | 12:57 PM
Share

কলকাতা: গরুপাচার মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু কলকাতার কোর্টে কিছুটা স্বস্তি পেলেন কেষ্ট। বাম আমলের হিংসা মামলায় বেকসুর খালাস অনুব্রত মণ্ডল। মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ কাণ্ডে হেভিওয়েট যোগে পর্যাপ্ত প্রমাণ মেলেনি। সেই কারণে অনুব্রতকে রেহাই বিধাননগর আদালতের। সেই ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে প্রতিক্রিয়া দেন বাহুবলী। বলেন, ‘সত্যের জয় হল। এটা ২০১০ সালের কেস। মিথ্যা মামলা করেছিল। আমি ছাড়া বাকি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তাঁরাও বেকসুর খালাস হয়েছেন।’

বৃহস্পতিবার তৃণমূলের মেগা সমাবেশ থেকে অনুব্রতকে বীরের মর্যাদা দিয়ে ফিরিয়ে আনার বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন, সাংবাদিকরা মুখ্যমন্ত্রীর সেই বক্তব্য কেষ্টর সামনে তুলে ধরতেই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তৃণমূল নেতা বলেন, ‘আমি কি অন্যায় কিছু করেছি নাকি? শুধু দেখতে যান…আর দেখতে যান’

বস্তুত, রাখীর দিন গ্রেফতার হন বীরভূমের বাহুবলী। সেই গ্রেফতারির পর তাঁর শারীরিক পরিভাষা কিছুটা হলেও বদলে গিয়েছিল। মানসিকভাবে তিনি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন এমনটাই মনে করছিল রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে ফিরে আসেন কেষ্ট। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ‘অনুব্রত যতদিন না ফিরে আসবেন আন্দোলন আরও তীব্রতর করা হবে।’ আর এই বার্তা অনুব্রত মণ্ডলের কাছে পৌঁছনর পর তিনি যে মানসিক ভাবে আরও বেশ খানিকটা অক্সিজেন পেয়েছেন তা বলা যেতেই পারে।

মঙ্গলকোট মামলার প্রেক্ষাপট

২০১০ সালে ভোটের আগে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ হয়।বোমার আঘাতে কেবুলালের একটি হাত উড়ে যায়। এই ঘটনায় সেই সময় তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতার নাম জড়ায়। অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও শেখ শাহনাওয়াজ,তাঁর ভাই কাজল শেখ, আজাদ মুন্সি( যিনি বর্তমানে মৃত) ও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কেরিম খান-সহ ১৫ জনের নামে মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করে সিপিআইএম। প্রথমে এই মামলা কাটোয়া আদালতে বিচারাধীন ছিল। পরে এমপি এমএলএ আদালতে পাঠানো হয়। সেই মামলাতেই এ দিন বেকসুর খালাস হন অনুব্রত।