Anubrata Mondal: IC-কে কদর্য আক্রমণ, এবার বোলপুরের SP-কেই হাজিরার নির্দেশ কমিশনের
Anubrata Mondal: জাতীয় মহিলা কমিশন জানতে চেয়েছিল, কেন থানার সাইটে এফআইআর-এর কপি আপলোড করা হয়নি? তাতে মানুষ জানতে পারবে, পুলিশ এই ঘটনায় কোন কোন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

কলকাতা: বোলপুরের আইসি-কে কদর্য ভাষায় তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের আক্রমণের ঘটনায় এবার বীরভূমের এসপি-কেই হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হল। বীরভূমের পুলিশ সুপারকে জাতীয় মহিলা কমিশনের হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১ জুলাইয়ের মধ্যে তাঁকে হাজিরা দিতে হবে। এই ঘটনায় জোড়া রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল বীরভূম জেলা পুলিশের তরফ থেকে।
জাতীয় মহিলা কমিশন জানতে চেয়েছিল, কেন থানার সাইটে এফআইআর-এর কপি আপলোড করা হয়নি? তাতে মানুষ জানতে পারবে, পুলিশ এই ঘটনায় কোন কোন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের তরফ থেকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল, তাতে সেই উত্তর এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই কারণেই হাজিরার নির্দেশ। হাজিরা না দিলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের। কেন অনুব্রত মণ্ডলের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়নি, সেই প্রশ্নেরও উত্তর চায় কমিশন। এই ঘটনার পরও অনু্ব্রত কোনও আদালতেই আগাম জামিনের আবদেন করেননি। কিন্তু তারপরও কেন পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করল না, সেই প্রশ্নেরও উত্তর পেতে চায় কমিশন।
এই বিষয়টিকে নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা জগন্নাথ সরকার বলেন, “পুলিশ সুপারের আসলে শ্যাম রাখি না কূল রাখি অবস্থা! একদিকে অনুব্রতর গালি খাচ্ছেন, অন্যদিকে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। জাতীয় মহিলা কমিশনের কঠোর পদক্ষেপ করার সুযোগ রয়েছে। একাধিকবার ডাকার পরও যদি পুলিশ কমিশনার সাহায্য না করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, তাঁর সার্ভিস বুকে লাল কালির দাগ দেওয়ার ক্ষমতা কমিশনের রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, গত মাসের শেষের দিকে একটি অডিয়ো সামনে আসে, যা নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। যে অডিয়োতে শোনা যায়, বোলপুরের আইসি-কে কদর্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন অনুব্রত। সেই নিয়ে পুলিশ তলবও করেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বারবার হাজিরা এড়ান অনুব্রত। জুন মাসের পাঁচ তারিখ হাজিরা দেন অনুব্রত। তবে ৯০ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদের পরই বেরিয়ে আসেন তিনি।

