AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কলকাতায় পা রেখেই শাসকদলের ‘বহিরাগত’ তত্ত্বে ঘা অনুরাগ ঠাকুরের

এদিন একাধিক দলীয় কর্মসূচি নিয়ে কলকাতায় আসেন অনুরাগ। বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও দেখতে যাওয়ার কথা তাঁর।

কলকাতায় পা রেখেই শাসকদলের 'বহিরাগত' তত্ত্বে ঘা অনুরাগ ঠাকুরের
দমদম বিমানবন্দরে বিজেপির শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
| Updated on: Jan 04, 2021 | 11:51 AM
Share

কলকাতা: শহরে পা রেখেই শাসকদলের ‘বহিরাগত তত্ত্ব’ নিয়ে সরব হলেন বিজেপির শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। সোমবার দমদম বিমানবন্দরে অনুরাগ বলেন, যে বাংলা থেকে কাশ্মীরে গিয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় আওয়াজ তুলেছিলেন, এক দেশে দুই পতাকা, দুই বিধান, দুই প্রধান থাকতে পারে না, সেখানে দেশের অন্য প্রান্তের মানুষকে বহিরাগত বলার আগে ভাবা উচিৎ। এদিন একাধিক দলীয় কর্মসূচি নিয়ে কলকাতায় আসেন অনুরাগ। বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও দেখতে যাওয়ার কথা তাঁর।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এদিন অনুরাগ বলেন,”ভারত সরকারের কোনও মন্ত্রীর বাংলায় আসাকে কেউ যদি বলেন বাইরে থেকে আসা তাহলে জানতে চাইব কাদের আপনারা আপনজন বলবেন। ভারত সরকারের কোনও মন্ত্রীর পশ্চিমবঙ্গে আসা অপরাধ? পশ্চিমবঙ্গের মাটি ভারতবর্ষকে সেই কবে থেকে মহান ব্যক্তিত্ব, মহান নেতৃত্ব দিয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁরা দেশের মুখ। অথচ সেই বাংলায় বাইরে থেকে কেউ এলে সে বহিরাগত হয়ে যাবে! বাংলা তো ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এখানে সকলের আসার অধিকার আছে।”

আরও পড়ুন: বিজেপির রাজ্য কমিটির নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, উত্তপ্ত আসানসোল

অনুরাগের সংযোজন, “এই পশ্চিমবঙ্গের মাটি থেকে, কলকাতা থেকে, শ্য়ামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কাশ্মীর গিয়ে আওয়াজ তুলেছিলেন একটা দেশে দুটো নিশান দুটো প্রধান থাকতে পারবে না। তাঁর স্বপ্নকে সত্যি করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অভিন্ন অঙ্গ হয়েছে। শ্যামাপ্রসাদবাবু কলকাতা থেকে গিয়ে কাশ্মীরের জন্য সরব হয়েছিলেন। অথচ সেই কলকাতাতে এখন যদি শুনতে হয় বাইরে থেকে এসেছেন, তাহলে ভেবে দেখা উচিৎ এ রাজ্যে বিচার ব্যবস্থা কোথায় দাঁড়িয়ে।”

বিজেপি তাদের সর্বভারতীয় শক্তি দিয়েই একুশের ভোটে ঝাঁপিয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে বাংলায় পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভিন রাজ্যের একাধিক দলীয় নেতাকে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বারবার বঙ্গসফরে আসছেন হেভিওয়েট নেতারা। আর গেরুয়া শিবিরের এই নির্বাচনী রণকৌশলকেই ‘বহিরাগত দিয়ে বাংলা জয়ের’ চেষ্টা বলে তোপ দাগছে তৃণমূল। বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আবহে এই বহিরাগত তরজা এখন ‘ট্রেন্ডিং’। কলকাতায় এসে বিজেপির প্রত্যেক নেতা এ নিয়ে সরব হচ্ছেন। এদিন অনুরাগ ঠাকুরের গলাতেও সে সুরই শোনা গেল।