বিজেপির রাজ্য কমিটির নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, উত্তপ্ত আসানসোল
কৃষ্ণেন্দুর অভিযোগ, রাজনৈতিক হিংসার কারণে তাঁর উপর এই হামলার সম্ভাবনা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হীরাপুর থানার পুলিস।
পশ্চিম বর্ধমান: বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি। বরাত জোরে রক্ষা পেলেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়। রবিবার মধ্যরাতে আসানসোলের হীরাপুরে নিজের বাড়িতে ঢোকার সময় দুষ্কৃতী হামলার শিকার হন তিনি। কৃষ্ণেন্দুর অভিযোগ, রাজনৈতিক হিংসার কারণে তাঁর উপর এই হামলার সম্ভাবনা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হীরাপুর থানার পুলিস। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার হীরাপুর থানা ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিজেপি।
দলীয় কাজ সেরে রবিবার রাত ১২টা নাগাদ আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বার্নপুর রোড রবীন্দ্রনগর এলাকায় নিজের বাড়ি ফিরছিলেন কৃষ্ণেন্দু। অভিযোগ, বাড়িতে ঢোকার মুখে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে উড়ে আসতে থাকে গুলি। একদল দুষ্কৃতী জোর করে তাঁর গাড়ির দরজা খোলার চেষ্টা করে। কিন্তু চেঁচামেচি শুনে ততক্ষণে তাঁর বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে চম্পট দেয় হামলাকারীরা। পুলিস ইতিমধ্যেই কৃষ্ণেন্দুর বাড়ির সামনে বসানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করেছে। তিন দুষ্কৃতী কীভাবে হামলা চালায় তার নমুনাও মিলেছে।
আরও পড়ুন: বিজেপিকে মেরে তাড়ানোর নিদান তৃণমূলের মেয়র পারিষদের
এক সময় এলাকায় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিতি ছিল কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের। স্থানীয় সূত্রে খবর, কেউ তাঁকে ‘দাবাং দাদা’ বলে ডাকেন। কারও কাছে তিনি ‘বস’। কৃষ্ণেন্দুর সমাজকর্মী হিসাবেও পরিচিতি রয়েছে। বছর দু’য়েক আগে হঠাৎই নাকি তাঁর নামের সঙ্গে তোলাবাজি, অপহরণ, খুনের চেষ্টা, বেআইনি অস্ত্র রাখার মতো একাধিক গুরুতর অভিযোগ জড়িয়ে যায়। এরইমধ্যে দেড় বছর আগে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।
কৃষ্ণেন্দুর দাবি, তাঁর বিজেপি যোগের সম্ভাবনা দেখে তৃণমূল তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করে। এখনও বেশ কিছু মামলা বিচারাধীন। কয়েকটি থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বিশেষ জামিনে মুক্ত কৃষ্ণেন্দু এক বছর আগে আসানসোলে ফেরেন। এরপর থেকে রাজনীতি, বিজেপি নিয়েই ব্যস্ত তিনি। তাঁর উপর এদিনের হামলায় আসানসোলের কোনও বড় তৃণমূল নেতার মদত থাকতে পারে বলেই মনে করছেন কৃষ্ণেন্দু। তৃণমূল অবশ্য এ ধরনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে।
তৃণমূলের রাজ্য কোর কমিটির সদস্য তথা পশ্চিম বর্ধমান তৃণমূলের মুখপাত্র অশোক রুদ্র এই ঘটনায় তৃণমূল যোগের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “কৃষ্ণেন্দুবাবুর ট্র্যাক রেকর্ড দেখলেই বোঝা যায় ওনার প্রতিপক্ষ কারা বা শত্রু কারা। উনি এখন বিজেপি করছেন তাই এসব বলে হাওয়া গরম করার চেষ্টা করছেন।”