‘ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা’, ভ্যাকসিন চেয়ে ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার

রেল, এয়ারপোর্ট কিংবা ব্যাংকে কর্মরত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের অবিলম্বে ভ্যাকসিন দেওয়া উচিত। চিঠিতে মোদীকে (Narendra Modi) এমনটাই লিখলেন মমতা (Mamata Banerjee)।

'ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা', ভ্যাকসিন চেয়ে ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার
অলংকরণ- অভিজিৎ বিশ্বাস
Follow Us:
| Updated on: May 20, 2021 | 4:17 PM

কলকাতা: দেশের সব মানুষের দ্রুত টিকাকরনের জন্য বরাবরই সওয়াল করেছেন মমতা (Mamata Banerjee)। সবসময় উত্তর না এলেও বারবার চিঠি দিয়েছেন মোদীকে (Narendra Modi)। আজও ভার্চুয়াল বৈঠকে একগুচ্ছ দাবির কথা বলবেন বলে বসেছিলেন। কিন্তু কথা বলার সুযোগ মেলেনি। তাই বৈঠকের পর ফের ভ্যাকসিনের চাহিদা নিয়ে মোদীকে চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কাজ করা কর্মীদের ভ্যাকসিনের (Vaccine) প্রয়োজনীয় বুঝিয়ে কার্যত মোদী সরকারকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার মোদীকে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছেন মমতা। আর সেই চিঠিতে বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজন। তাঁদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও পলিসি নেই, বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদেরও করোনা যুদ্ধের প্রথম সারির সৈনিক হিসেবে দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলেন তিনি।

মমতা চিঠিতে জানিয়েছেন, বাংলায় সরকারি কর্মীদের সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে চান তিনি। আর তার জন্য ২০ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন চেয়েছেন কেন্দ্রের কাছে। সেইসঙ্গে রাজ্যে কর্মরত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘রেল, বিমান বন্দর, বন্দর, প্রতিরক্ষা, বীমা, ব্যাংক-সহ সব কেন্দ্রীয় সরকারি সেক্টরের কর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। তাঁদের অগ্রাধিকার দিয়ে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা উচিত।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এই সব কর্মীরাই দেশের জরুরি পরিষেবা বজায় রাখে। কাজের স্বার্থেই তাঁরা মানুষের সঙ্গে মিশতে বাধ্য হন। তাই তাঁদের করোনায় সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই অবিলম্বে বয়স নির্বিশেষে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের দ্রুত টিকা দেওয়া উচিত।

আরও পড়ুন: ‘এক সেকেন্ডের জন্য কথা বলতে দেওয়া হল না, এত অবহেলা!’ মোদীর বৈঠকে ক্ষুব্ধ মমতা

এ দিকে, আজই প্রধানমন্ত্রীর ডাকা ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি কথা বলার কোনও সুযোগ পাননি। বৈঠক শেষে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। ‘ফ্লপ ক্যাজুয়াল বৈঠক’ তকমা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘ভেবেছিলাম বলব ভ্যাকসিনটা দিন। আমরা ১ কোটি ২০ লক্ষ ভ্যাকসিন পেয়েছি। আমাদের ২৪ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা ছিল তাও দিচ্ছে না। ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। সেই জবাব কে দেবেন? প্রধানমন্ত্রী মুখ লুকিয়ে চলে যাচ্ছেন।’