
কলকাতা: টার্গেটে বাংলা। টার্গেট করা হচ্ছে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের। ভোটার লিস্ট ইস্যুতে নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপিকে এক বন্ধনীতে ফেলে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিশনের ডিক্লারেশন ফর্ম নিয়ে তুললেন গুরুতর অভিযোগ। মমতার মতে এটা ভয়ঙ্কর খেলা। এনআরসি-র চেয়েও ভয়ঙ্কর। এই ইস্য়ুতে এবার পাল্টা সুর চড়িয়েছে বিজেপি। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলছেন, “মমতা বুঝে গিয়েছেন রোহিঙ্গাদের নাম বাদ যাবে। ফলস রোহিঙ্গা ভোটার ঢুকিয়ে রেখেছিল।” অন্যদিকে অন্যদিকে ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন সিপিএমেরও।
এদিন দিঘা থেকে সংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। সেখানেই তিনি বলেন, প্রথমে বাংলাকে টার্গেট করা হচ্ছে। তারপর বাকি রাজ্যগুলিতেও টার্গেট করা হবে। আর এই ক্ষেত্রে বিজেপি হাতিয়ার করছে নির্বাচন কমিশন। মমতার দাবি উড়িয়ে শুভেন্দু বলছেন, “মমতা নিজেও বুঝে গিয়েছেন সব স্মুথ হবে না। কোন কিছু ঠিক নেই।”
‘মর্নিং শোজ দ্যা ডে’
ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের বাকি মেরে কেটে আর কয়েক মাস বাকি। যদিও এরইমধ্যে বাংলার নানা প্রান্তে ভুয়ো ভোটার নিয়ে চাপানউতোর কম হয়নি। ভোটার লিস্টে ভূত ধরতে আলাদা করে কমিটিও তৈরি করে ফেলেছিল শাসকদল। এবার এবার ডিক্লারেশন ফর্মেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ফের একবার বাংলার ভোটার তালিকায় ভিন রাজ্যের ভোটারদের নাম ঢোকানোর অভিযোগে সরব হলেন। সেই সঙ্গে টেনে আনলেন এনআরসি-র প্রসঙ্গ। স্পষ্ট কথা, “আপনি বাংলায় হরিয়ানা, রাজস্থান সহ অন্যান্য রাজ্যের নাম দিয়ে নাম ভরাবেন। এতটা সহজ নয়। ইটস আ হরর গেম। ইট ইজ ডেঞ্জারাস দ্যান এনআরসি ইভেন।” পাল্টা শুভেন্দু বলছেন, “মর্নিং শোজ দ্যা ডে। স্মেল ইজ ভেরি ব্যাড। উনি ফিয়ার সাইকোসিসে ভুগছেন।”
চাপানউতোর চলছেই
সম্প্রতি ভোটার নাম তুলতে নাগরিকত্বের সুনির্দিষ্ট পরিচয়পত্র, সেলফ অ্যাটাস্টেড ডিক্লারেশনের কথা জানিয়েছে কমিশন। তা নিয়েই তীব্র আপত্তি তৃণমূলের। মাসখানেক আগেই নেতাজি ইন্ডোরে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একই অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা। সদ্য আবার বাংলায় ভুয়ো ভোটার এবং বাংলাদেশি ভোটার নিয়ে বহু অভিযোগ সামনে আসে। একই এপিক নম্বরে ভিন রাজ্যে ভোটার খুঁজে পাওয়া যায়। কাকদ্বীপের ভোটার তালিকা থেকে বাদ যায় বাংলাদেশি নিউটন দাসের নাম। তা নিয়ে চাপানউতোর কম হয়নি।