কলকাতা: শহরে ফের এটিএম (ATM) ভেঙে টাকা লুঠের চেষ্টা। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে (Central Avenue) অবস্থিত ওই এটিএমটি রক্ষীবিহীন ছিল বলেই জানা গিয়েছে। রবিবার সকালে এক স্থানীয় বাসিন্দা ওই পথ দিয়ে মন্দিরে যাওয়ার সময় দেখতে পান, এটিএম ভাঙা। এরপরই তিনি রাস্তায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ(Traffic Police)-কে খবর দেন। ঘটনাস্থলে ওই ট্রাফিক পুলিশও এসে দেখেন, এটিএম ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে। এরপরই লালবাজার কন্ট্রোল রুম (Lalbazar Control Room) ও বউবাজার থানা(Bowbazar Police Station)-এ খবর দেওয়া হয়। ওই এটিএম থেকে টাকা চুরি হয়েছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।
চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ সংলগ্ন স্কুল অব ট্রপিকল মেডিসিনের ঠিক উল্টোদিকের ফুটপাথে থাকা ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া(Bank of India)-র এটিএমে লুঠপাট চালানোর চেষ্টা করা হয়। এদিন সকালেই এটিএমের ভল্টের দরজা ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়। এই দেখেই আন্দাজ করা হচ্ছে যে টাকা লুঠপাট চালানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।
যে স্থানীয় বাসিন্দার নজরে প্রথম ভাঙা এটিএম নজরে পড়ে, তিনি বলেন, “আমি সকালে মন্দিরে যাচ্ছিলাম। সেই সময়ই ভাঙা এটিএমের দরজা নজরে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে খবর দিই এবং লালবাজারে জানাতে বলি। তিনিই লালবাজারের কন্ট্রোল রুম ও বউবাজার থানায় খবর দেন।”
এটিএম ভাঙার খবর পেয়েই ঘটনাস্খলে আসেন বউবাজার থানার পুলিশ। এসেছেন লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরাও। এটিএমের ভিতরে যে সিসিটিভি ক্য়ামেরা রয়েছে এবং আশেপাশে রাস্তায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজগুলিও সংগ্রহ করা হয়েছে। পুলিশ ওই ফুটেজ খতিয়ে দেখেই জানার চেষ্টা করছেন কারা, কখন এটিএমের ভিতরে ঢুকেছিলেন এবং কী উদ্দেশ্য নিয়ে তারা এটিএমে ঢুকেছিলেন। অভিযুক্তদের চিহ্নিতকরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। গতকাল রাতে দুষ্কৃতীদের হামলার সময় কেউ দেখেছিলেন কিনা, তা জানতে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরাও আশেপাশের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
এটিএম থেকে টাকা খোয়া গিয়েছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে এসে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন এবং এটিএমে কত টাকা ছিল, তার সঙ্গে এটিএমে মজুত টাকা মিলিয়ে দেখা হবে যে টাকা খোয়া গিয়েছে কিনা। ব্য়াঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু না জানানোয়, পুলিশের তরফেও টাকা চুরি হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো সম্ভব হয়নি।
প্রশ্ন উঠেছে এটিএমে নিরাপত্তারক্ষী না থাকা নিয়েও। অরক্ষিত এটিএমে এর আগেও লুঠপাট হয়েছে শহরে। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, প্রত্যেকটি এটিএমেই রক্ষী রাখতে হবে। কিন্তু সেই নিয়ম যে অনুসরণ করা হচ্ছে না, তা প্রমাণ হল আরও একবার।
আরও পড়ুন: MP Mahua Moitra: মহুয়া কি এবার বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? বিস্ফোরক দাবি বিজেপি সাংসদের
আরও পড়ুন: Women harassment: মধ্যরাতে মহিলাকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ খোদ ২ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে