শোভনের সঙ্গেই উডবার্নে থাকতে দিতে হবে! নাছোড় বৈশাখীর আবদারে নাজেহাল চিকিৎসকরা
শোভনের আশপাশের কেবিনেই ভর্তি হতে মরিয়া হয়ে ওঠেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baisakhi Banerjee)।
কলকাতা: এসএসকেএমের (SSKM) উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এবার সেই উডবার্নে ভর্তি হতে চেয়ে চিকিৎসকদের নাজেহাল করার অভিযোগ উঠল শোভন-বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মঙ্গলবার সেখানকার চিকিৎসকদের বৈশাখী বলেন, তিনিও এখানে ভর্তি হতে চান। শুধু ভর্তি হতে চান না, শোভনের কেবিন সংলগ্ন কোনও কেবিনেই রাখতে হবে তাঁকে। এত বছরে এমন দাবি এ হাসপাতালে উঠেছে কি না তা মনে করতে পারছেন না চিকিৎসকরা। তবে বৈশাখীর নাছোড় আবদারে কার্যত কপালে হাত দেওয়ার পরিস্থিতি হয় ডাক্তারদের। টান টান নাটকে সরগরম হয়ে ওঠে শহরের এই ব্যস্ততম সরকারি হাসপাতাল।
নারদকাণ্ডে সোমবারই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন শোভন চট্টোপাধ্যায়। মধ্যরাতে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুর সংশোধনাগারে। সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেস থেকে রাত ১টার পর যখন শোভনকে বের করে আনা হয়, এক পাশে ছিলেন ছেলে সপ্তর্ষি, অন্যপাশে ‘ছায়াসঙ্গী’ বৈশাখী। সারাদিনে এই প্রথমবার দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এরপর সংশোধনাগার অবধি সঙ্গী ছিলেন শোভনের। মাঝে সংশোধনাগারের ভিতর তাঁকে ঢুকতে না দেওয়ায় হাপুস নয়নে কেঁদে ভাসান শোভনের বান্ধবী। তাঁর চিৎকার চেঁচামেচিতে মধ্য রাতে এক নাটকীয় মুহূর্ত তৈরি হয় আলিপুর সংশোধনাগারের সামনে।
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভোরে ফের এসএসকেএমের উডবার্নে পৌঁছে যান বৈশাখী। সেখানেই ১০৬ নম্বর কেবিনে রাখা হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তার আশপাশের কেবিনেই ভর্তি হতে মরিয়া হয়ে ওঠেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বোঝাতে কার্যত হিমশিম খান চিকিৎসকরা। রোগী দেখা ফেলে সেখানে বৈশাখীর বায়না সামলাতে ব্যস্ত হতে হয় ডাক্তারদের। সে খবর ওয়ার্ডের হেল্পডেস্ক অবধি পৌঁছে যায়।
এভাবে উডবার্নে কাউকে ভর্তি করা হয় না। এটাই হাসপাতালের প্রোটোকল। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি হাসপাতালে প্রথমে এমার্জেন্সিতে যেতে হয়। টিকিট ইস্যু হয়। তারপর রোগী যদি টাকা দিয়ে চিকিৎসা করাতে চান তা হলে বিশেষ কেবিনে থাকার সম্মতি দেওয়া হয়। ভিআইপিদের ক্ষেত্রে এতটা কড়াকড়ি না হলেও সেক্ষেত্রে শারীরিক অসুস্থতা থাকা জরুরি। অথচ বৈশাখী না ভিআইপি, না তো তিনি অসু্স্থ! তা হলে কোনও দাবিতে তাঁকে একটা কেবিন ছেড়ে দেওয়া হবে তা বুঝেই উঠতে পারছেন না ডাক্তাররা।