Bankura: বিএমওএইচকে শোকজের চিঠি, বিডিওর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন চিকিৎসকরা
Bankura: গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ঘটনার সূত্রপাত। বাঁকুড়ার রানিবাঁধ ব্লকের ঝিলিমিলি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এক রোগীর মৃত্যু হয়।
বাঁকুড়া: এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে বিএমওএইচকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়ার অভিযোগ বিডিওর বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ায় এই ঘটনা ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন চিকিৎসক ও জেলার স্বাস্থ্যকর্মীরা। চিকিৎসকদের দাবি, এমনিতেই নানারকম প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে তাঁদের কাজ করতে হয়। তার উপর করোনাকালে সমস্ত রকম ঝুঁকি নিয়েই প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছেন তাঁরা। কোথায় ডাক্তারদের সম্মান দেখাবেন, তা না করে ইচ্ছাকৃত হেনস্থা করা হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে আন্দোলনে নামল সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম। শুক্রবার বাঁকুড়ার জেলাশাসকের অফিসের বাইরে প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন চিকিৎসক ও জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। সংশ্লিষ্ট বিডিওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলে অবস্থান বিক্ষোভেও শামিল হন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ঘটনার সূত্রপাত। বাঁকুড়ার রানিবাঁধ ব্লকের ঝিলিমিলি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এক রোগীর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের বিরুদ্ধে। নিহত রোগীর আত্মীয়রা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রানিবাঁধের বিডিও গৌনক আগরওয়াল।
অভিযোগ, এরপরই মূল ঝামেলা শুরু হয়। বিডিও গিয়ে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কথা বলেন বলে অভিযোগ। এতেই ওখানে থাকা রোগীর পরিবারের লোকজন আরও হইচই শুরু করেন। এর জেরে তুমুল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এমনকী চিকিৎসক, বিএমওএইচকে হেনস্থার শিকারও হতে হয় বলে অভিযোগ। এদিকে এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রানিবাঁধের বিডিও রানিবাঁধের বিএমওএইচকে শোকজ নোটিস ধরান। এই চিঠি ঘিরেই চিকিৎসকদের মধ্যে অসন্তোষ আরও বাড়ে। এরপরই বিক্ষোভ, প্রতিবাদ-আন্দোলনে নামেন চিকিৎসকরা।
বিক্ষুব্ধ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দাবি, বিডিও যা করেছেন তা সংবিধান কখনওই মান্যতা দেয় না। চিকিৎসক সত্যরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সব জায়গায় পর্যাপ্ত ডাক্তার নেই, পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। সেই অপ্রতুলতা নিয়েই আমরা কাজ করছি। কোভিড আসার পর পরিকাঠামোর অভাব আরও বেশি করে ফুটে উঠেছে। দিনের পর দিন এক পরিস্থিতি। কিন্তু আমরা তার মধ্যেই সবটা করেছি। তারপরেও এই ঘটনা! এখন তো বিএমওএইচ, ডাক্তারদের সম্মানিত করা উচিৎ। সেখানে এই ধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটল আমরা অবাক হচ্ছি। আমি যতটুকু শুনেছি বিডিও ডাক্তারদের বিরুদ্ধে মানুষকে উসকানি দিয়েছেন। এর জন্য সিস্টার, বিএমওএইচকে নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে। তালা বন্ধ করে রাখা হয়েছে, ঢিল পাথর ছোড়া হয়েছে। বিডিওর কি এটাই কাজ? জানতে চাই।”
বাঁকুড়ার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সজল বিশ্বাস বলেন, “১৪ দিন মাত্র এসেছেন। উনি নাকি কয়েকটা সাব সেন্টার ঘুরে দেখেছেন। সেখানে নাকি ডাক্তার নেই দেখেছেন। সাব সেন্টারে তো ডাক্তার পোস্টিংই থাকে না। সেখানে কী করে ডাক্তার থাকবে? এটুকুও উনি জানেন না। অথচ উনি শোকজ করছেন।” যদিও এ প্রসঙ্গে বিডিওর কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: পদ ফিরে পেলেন অভিষেক! একাই সামলাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব