কলকাতা: কোভিড পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি না করা হলেও রাজ্য সরকার একাধিক নিয়ম জারি করেছে। বেশ কিছুদিন ধরে পানশালা (Bar) ও রেস্তোরাঁ (Restaurant) খোলার অনুমতি ছিল না। পরে সেগুলো খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এবার সেই ইস্যুতেই পুলিশ তথা রাজ্য সরকারকে (West Bengal Govt) হুঁশিয়ারি দিল রাজ্যের পানশালা ও রেস্তোরাঁ সংগঠন। তাঁদের দাবি, কোভিড বিধির (Covid Rules) নামে পুলিশি জুলুম চলছে।
সংগঠনের দাবি, পুলিশি জুলুম বন্ধ করা হোক। বন্ধ না হলে রাস্তায় নেমে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের পানশালা ও রেস্তোরাঁ সংগঠন। ব্যবসা বন্ধ করে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। আজ মঙ্গলবার, সাংবাদিক বৈঠকে ‘বঙ্গীয় হোটেল রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড এক্সসাইস লাইসেনসি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সদস্যরা বলেন, রাজ্যকে ৭২ ঘন্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে তাঁদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে ব্যবসা বন্ধ করে দেবেন তাঁরা।
সংগঠনের বক্তব্য, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী রাত সাড়ে ১০ টা অবধি সময় দেওয়া হয়েছে পানশালা ও রেস্তোরাঁগুলিকে। কিন্তু, পুলিশ জোর করে ১০ টার মধ্যে বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে গ্রাহকরা আসছেন না বলে অভিযোগ ব্য়বসায়ীদের। ফলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁদের। সমস্যায় পড়ছেন এই ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত রাজ্যের প্রায় ৫০ লক্ষ ব্যবসায়ী। তাই ৭২ ঘন্টার মধ্যে রাজ্য আলোচনায় না বসলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার বার্তা দিলেন তাঁরা। রাস্তায় নামার পাশাপাশি পানশালা বন্ধের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
সংগঠনের দাবি, পানশালা-রেস্তোরাঁ খুলে রাখার সময়সীমা বাড়িয়ে রাত ১২টা অবধি করতে হবে। মদ কেনার জন্য আবগারি দফতরের চাপ কমানোর আর্জিও জানাচ্ছেন তাঁরা। মদের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা, গান বাজনার ক্ষেত্রে নিৰ্দিষ্ট নিয়ম লাগু করার কথাও বলা হয়েছে।
পানশালা কর্তৃপক্ষের দাবি, রোজ বিক্রি কমেছে গড়ে ৫০ হাজার টাকা। হিসেব দিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রত্যেক পানশালায় কর্মী সংখ্যা গড়ে ৫০ জন, কর্মীদের বেতন গড়ে 8 হাজার টাকা করে। মূলত টিপসের ওপরেই চলে ব্যবসা। গত দুবছরে বোনাস নেই বলেও অভিযোগ তাঁদের। পানশালার মালিকদের কথায়, ব্যবসা কমলেও কর্মীদের বেতন বন্ধ হয়নি। ৮৫০ পানশালার মালিক একযোগে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন: Green Fire Crackers: কালীপুজোয় কখন ফাটাতে পারবেন বাজি? সময় ধার্য করল রাজ্য
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য বসু বলেন, আমাদের দাবি মানা না হলে, মদ বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হবে। দ্রুত ব্যবসায়ীদের দাবি মানতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: Alapan Bandyopadhyay: মামলা সরানোয় এত তাড়াহুড়ো কীসের? আলাপনের আবেদনে CAT-কে প্রশ্ন হাইকোর্টের