Alapan Bandyopadhyay: মামলা সরানোয় এত তাড়াহুড়ো কীসের? আলাপনের আবেদনে CAT-কে প্রশ্ন হাইকোর্টের

Calcutta High Court: আপনার এত তাড়াহুড়ো কীসের ট্রান্সফারের জন্য? মাত্র একদিন সময় দিতে পারলেন না! ক্যাটের চেয়ারম্যান কীভাবে জানলেন সব ডকুমেন্ট দিল্লিতেই থাকবে? এটা ঠিক নয়। মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের।

Alapan Bandyopadhyay: মামলা সরানোয় এত তাড়াহুড়ো কীসের? আলাপনের আবেদনে CAT-কে প্রশ্ন হাইকোর্টের
এবার সুপ্রিম কোর্টে আলাপন মামলা (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 27, 2021 | 4:21 PM

কলকাতা : আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Alapan Bandyopadhyay) মামলায় অস্বস্তিতে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রাইবুনাল( Central Administration Tribunal)। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিবকে একদিন সময় না দিয়েই কেন মামলা ট্রান্সফার? প্রশ্ন তুলল হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ। হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য বলেন, এটা কোনও হট রেস নয়। প্রশ্ন তোলেন, “আপনার এত তাড়াহুড়ো কীসের ট্রান্সফারের জন্য? মাত্র একদিন সময় দিতে পারলেন না! ক্যাটের চেয়ারম্যান কীভাবে জানলেন সব ডকুমেন্ট দিল্লিতেই থাকবে? এটা ঠিক নয়। চেয়ারম্যানের এই সিদ্ধান্ত আদৌ সঠিক ছিল কিনা, তা ২ নভেম্বরের আগেই জানাবে হাইকোর্ট।

আলাপনবাবুর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং। গত ১৮ অক্টোবর প্রাথমিক পর্যায়ের শুনানির জন্য তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়। যদিও আলাপনবাবুর অনুরোধের সেই শুনানির দিন পিছিয়ে ২ নভেম্বর করা হয়েছে। এরই মধ্যে হাইকোর্টে আবেদন জানান তিনি।

গত ২৮ মে ঘটনার সূত্রপাত। ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’এর পর ওই দিন কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রী একটি রিভিউ বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৎকলীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু, ক্ষয়ক্ষতি সামলানোর জন্য ব্যস্ত থাকায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত হননি আলাপন। এরপরই তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁকে দিল্লিতে নর্থ ব্লকে হাজির হতে বলে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে উপস্থিত না হয়ে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রধানমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে উপস্থিত না হওয়ায় আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ভঙ্গ করার অভিযোগ ওঠে। বিপর্যয় মোকাবিল আইন ভঙ্গ করার জন্য কেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? সেই জবাব চাওয়া হয় আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। এরপরই অবসর নেন তিনি।

নির্ধারিত সময় দিল্লিতে যোগ না দেওয়ায় রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শো-কজ করে কেন্দ্র। এরপর ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং-এর তরফে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করা হয়। এই অনুসন্ধান প্রক্রিয়া খারিজ করার জন্য সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের কলকাতা বেঞ্চে সম্প্রতি মামলা করেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

উল্লেখ্য, গতরাতেই প্রাণনাশের হুমকি পান রাজ্য সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Bandyopadhyay)। মঙ্গলবার স্পিড পোস্টে পাঠানো একটি চিঠিতে ওই হুমকি দেওয়া হয়েছে। চিঠি পাঠানো হয়েছে আলাপনবাবুর স্ত্রী সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে। যিনি ঘটনাচক্রে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এক লাইনের চিঠিতে ইংরেজিতে লেখা, ‘আপনার স্বামী নিহত হবেন। কেউ আপনার স্বামীকে বাঁচাতে পারবে না। হুমকি চিঠির ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন : Alapan Bandyopadhyay: আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের হুমকি চিঠি, হেয়ার স্ট্রিট থানায় মামলা রুজু