Green Fire Crackers: কালীপুজোয় কখন ফাটাতে পারবেন বাজি? সময় ধার্য করল রাজ্য

Green Fire Crackers: রাজ্যের তরফ থেকে বলা হয়েছে, কেবলমাত্র পরিবেশবান্ধব আতসবাজিই বিক্রি করা হবে। রাত ৮-১০টা পর্যন্ত এই বাজি ফাটানো যাবে।

Green Fire Crackers: কালীপুজোয় কখন ফাটাতে পারবেন বাজি? সময় ধার্য করল রাজ্য
আতসবাজি (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 27, 2021 | 1:36 PM

কলকাতা: দীপাবলির বাজি বাজারে এসে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশমতো পরিবেশবান্ধব বাজিই ফাটাতে হবে, আরও একবার নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। পরিবেশ বান্ধব বাজি ফাটানোর নোটিস জারি করল রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।

রাজ্যের তরফ থেকে বলা হয়েছে, কেবলমাত্র পরিবেশবান্ধব আতসবাজিই বিক্রি করা হবে। রাত ৮-১০টা পর্যন্ত এই বাজি ফাটানো যাবে। ছট পুজোতেও কেবল ২ ঘণ্টাই এই বাজি ফাটানো যাবে। পাশাপাশি ক্রিসমাস ও বর্ষশেষের অনুষ্ঠানে কোন সময়ে বাজি ফাটানো যাবে, সেই সময় সীমাও ধার্য করে দিল রাজ্য সরকার। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ক্রিসমাস ও বর্ষশেষের রাতে ১১.৫৫ মিনিট থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব আতসবাজি ফাটানো যাবে।

পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে আতসবাজি বিক্রি ও ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু পুরোপুরি তা বন্ধ না করে নিরাপদ ও কম শব্দ উত্‍পন্ন করে সেই ধরনের বাজি বিক্রি ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীরাই বাজি বিক্রি করতে পারবেন। এ বিষয়ে সরকারকে জনসচেতনামূলক প্রচার করতে হবে। শুক্রবার পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে প্রশাসনের সঙ্গে বাজি ব্যবসায়ীদের বৈঠক হয়। সেখানে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন বাজি ব্যবসায়ীরা। সোমবার কলকাতা পুলিশ এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সামনে হবে বাজি পরীক্ষা। তারপরই জানা যাবে এবার দীপাবলিতে কোন কোন বাজি পোড়ানো যাবে।

প্রসঙ্গত, কালীপুজো ও দীপাবলিতে আতসবাজি ফাটানোর গত বছরের নির্দেশ বহাল রাখার দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কোভিড আবহে ২০২০ সালে রাজ্যে শব্দবাজি সহ সবরকমের আতসবাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই রায় দেওয়া হয়েছিল। করোনা আবহে এই রায় অত্যন্ত কার্যকরী হয়েছিল।

উপকৃত হয়েছিলেন করোনায় আক্রান্ত রোগীরা। এ বছরেও সেই নির্দেশ বহাল রাখার দাবিতে মামলা হয় আদালতে। উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর আগে পরিস্থিতি অনেকটাই ফিরেছিল। সংক্রমণের হার নেমে গিয়েছিল ১ শতাংশ। কিন্তু পুজোর চার দিনে দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়ায় ২.৯৩ শতাংশ। এই পরিস্থিতি রাজ্যের প্রত্যেক জেলাতেই বৃদ্ধি পেতে থাকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ফের জারি করা হয় কনটেইনমেন্ট জোন।

এই পরিস্থিতিতে মামলাকারীর আবেদন, ‘রাজ্যে এখন ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। ফলে বন্ধ করা হোক বাজি পোড়ানো।’ আগামী ৪ নভেম্বর কালীপুজো। তাই তার আগেই এই মামলার শুনানির আর্জি জানানো হয়। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে আগামী ২৯ অক্টোবর এই মামলার শুনানি ধার্য করা হয়। আদালতের কী নির্দেশ দেয়, সেটা দেখার। তবে তার আগে পরিবেশবান্ধব আতসবাজি ফাটানোর সময়সীমা ধার্য করে দিল আদালত।

আরও পড়ুন: Alapan Bandyopadhyay: আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের হুমকি চিঠি, হেয়ার স্ট্রিট থানায় মামলা রুজু