২৩ জুন থেকে রাজ্যজুড়ে ধর্নায় নামছে বিজেপি, দিলীপ বললেন, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে যাব’
বৈঠকে নেতাদের অনুপস্থিতি নিয়ে সাফাই দিয়ে দিলীপ এ দিন জানান, যারা আসেননি তাঁরা কেউ কেউ শারীরিকভাবে অসুস্থ। কেউ ব্যক্তিগত কারণে আসেননি।
কলকাতা: সাংগঠনিক স্তরে বড় বৈঠকের পরই বিজেপির পরবর্তী রোডম্যাপ পরিষ্কার করে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মিটিং শেষে সাংবাদিক বৈঠকে বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সওয়াল তুলে বড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন রাজ্য বিজেপির মুখিয়া। গোটা রাজ্যেই ধর্নার পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে গেরুয়া শিবির রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান।
বিজেপির আজকের বৈঠকে গোটা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের নজর ছিল। দলের উপর বিরাগভাজন নেতারা আদৌ বৈঠকে হাজির থাকেন কি না সেদিকেই তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ছিল ওয়াকিবহাল মহলের। জল্পনা উস্কে দিয়ে আজকের বৈঠক এড়িয়ে যান মুকুল রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা। অনুপস্থিতি নিয়ে সাফাই দিয়ে দিলীপ এ দিন জানান, যারা আসেননি তাঁরা কেউ কেউ শারীরিকভাবে অসুস্থ। কেউ ব্যক্তিগত কারণে আসেননি।
পাশাপাশি দিলীপবাবুর দাবি, রাজ্যে ভোট পর্ব মেটার পর এক মাস সময় কেটে গেলেও সন্ত্রাসের ঘটনায় এখনও বিরাম আসেনি। তাই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যজুড়ে ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি, জানান দিলীপ। আগামী ২৩ জুন থেকে ধর্নায় নামা হবে। একই সঙ্গে রাজ্যের ১৮ সাংসদ ও ৭৫ বিধায়ক মিলেও বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হবে বিজেপি। অন্যদিকে, তৃণমূল যতই দাবি করুক না কেন, শাসকদল কোনও ভাবেই বিজেপি বিধায়কদের ভাঙাতে পারবে না বলে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে জানান দিলীপ।
আরও পড়ুন: ‘যন্ত্রণায় জ্বলছেন’ মুকুল; বিজেপির বৈঠকে গরহাজির থেকে বললেন, ‘আমাকে কেউ জানায়ইনি’
একই সঙ্গে এ দিন আরও একটি বিস্ফোরক দাবি তুলেছেন দিলীপ। তাঁর অভিযোগ, এই রাজ্যে ভ্যাকসিন নিয়ে কালোবাজারি চলছে। প্রচুর ভ্যাকসিন আসছে। প্রতিদিন আসছে। তবুও এই রাজ্য রাজনীতি করতে গিয়ে মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে পারছে না।
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে শাহকে অভিযোগ শুভেন্দুর, বাংলা ‘সামলাতে’ আশীর্বাদ চাইলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক