Mamata Banerjee: ‘আমি এত সিনিয়র পলিটিশিয়ান…’, অভিষেককে পাশে নিয়েই কেন্দ্রকে তোপ মমতার

Mamata Banerjee: মমতা কলকাতায় ফিরে বলেন, "বিরোধী থেকে আমি একা গিয়েছি। ওদের উচিত ছিল আমাকে আধঘণ্টা অ্যালাও করা। বারবার বেল টিপছ মানে তো স্টপ করতেই বলছ। কারও বেলা তো বেল টেপোনি। আমি এত সিনিয়র পলিটিশিয়ান। এতবার ইলেকটেড মেম্বার। বিরোধীদের মধ্যে একমাত্র গিয়েছি। কোথায় ক্রেডিট দেওয়া উচিত ছিল। তা নয় বেল টিপছে বারবার।"

Mamata Banerjee: 'আমি এত সিনিয়র পলিটিশিয়ান...', অভিষেককে পাশে নিয়েই কেন্দ্রকে তোপ মমতার
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 27, 2024 | 6:59 PM

কলকাতা: দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠক মাঝপথে ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে সর্বভারতীয় রাজনীতি এই মুহূর্তে তোলপাড়। শনিবার দিল্লি থেকে কলকাতা ফিরে এই বৈঠক নিয়ে একের পর এক বোমা ফাটান মমতা। তিনি বলেন, বাংলার বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন বলেই তাঁর মুখ আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এদিন আরও একবার তিস্তার জলবণ্টন, ফরাক্কার ড্রেজিং নিয়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। বলেন, “আমি বয়কট করে ঠিক করেছি, বাংলার মানুষের সম্মান মাথানত করতে দিইনি। বাংলার বঞ্চনা মানছি না মানব না।”

মমতা বলেন, “আমি ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন করার কথা বলেছি অন রেকর্ড। কারণ ভুটানের যে চল আসে তাতে আমাদের উত্তরবঙ্গ বিশেষ করে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ডুবে যায় প্রতি বছর। আমার রিটেন স্পিচে এগুলি দেওয়া আছে। তুমি কোনও দেশকে কী দেবে না দেবে সেটা তাদের ব্যাপার। এ নিয়ে আমি কোনও কথা বলছি না। কিন্তু স্টেট যখন স্টেক হোল্ডার তাদের সঙ্গে আলোচনা করবে না? তুমি বাংলাদেশকে দিয়ে দিলে আমার আপত্তি নেই। বাংলাদেশ আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। অনেকে এটাকে মিসলিড করছে। আমরা বলেছি, এখানে তিনটে পার্টি একটা ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ, আর স্টেক হোল্ডার বেঙ্গল। অথচ আমাদের জিজ্ঞাসা করলে না? তিস্তার জল চলে গেলে তো পানীয় জল পাবে না উত্তরবঙ্গ।”

এদিন আরও একবার মমতা বলেন, ফরাক্কা চুক্তি পুনর্নবীকরণ করলেও তাঁদের জানানো হয়নি। তিনি বলেন, “ফরাক্কা যখন দেবগৌড়াজীর সময় প্রথম হয় ৭০০ কোটি টাকার প্রজেক্ট বাংলাকে দেওয়ার কথা ছিল এই চুক্তির বদলে। কারণ মালদহ-মুর্শিদাবাদে যে নদী ভাঙন হয় তা থামানো যায় তার কাজের জন্য। ফরাক্কা তো শুকিয়ে গিয়েছে ড্রেজিং পর্যন্ত হয় না। ডিভিসিতে ড্রেজিং হয়নি ১২ ১৪ বছর। ফলে অল্প বৃষ্টিতে ভেসে বর্ধমান, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, বীরভূমে জল চলে আসছে। কলকাতা পোর্টটাকে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। ড্রেজিংই করে না। এই কথাগুলো বলতে যাওয়াটা অপরাধ? বিরোধী থেকে আমি একা গিয়েছি। ওদের উচিত ছিল আমাকে আধঘণ্টা অ্যালাও করা। বারবার বেল টিপছ মানে তো স্টপ করতেই বলছ। কারও বেলা তো বেল টেপোনি। আমি এত সিনিয়র পলিটিশিয়ান। এতবার ইলেকটেড মেম্বার। বিরোধীদের মধ্যে একমাত্র গিয়েছি। কোথায় ক্রেডিট দেওয়া উচিত ছিল। তা নয় বেল টিপছে বারবার।”