কলকাতা: একুশের বিধানসভা ভোটে জোট করে শূন্য হাতে ফিরেছে বাম (Left) ও কংগ্রেস (Congress)। অন্যদিকে উপানির্বাচনের ফলে অন্য ইঙ্গিত পাচ্ছে বামেরা। মাস খানেক প্রথম উপনির্বাচনে সামসেরগঞ্জে সত্তর হাজারের বেশি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয় কংগ্রেস। আবার দ্বিতীয় উপনির্বাচনে শান্তিপুর কিছুটা শান্তি দিয়েছে আলিমুদ্দিনকে। এই আবহে যে প্রশ্নটা উঠেছে, পুরভোটে একা নাকি ফের জোট তৈরি করে লড়বে বামেরা? মঙ্গলবার এ নিয়েই বৈঠক করলেন সিপিএম নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে জোটের পক্ষে যেমন রয়েছেন কয়েকজন নেতা। তেমনি ‘একলা চলো’ নীতিতে সুর চড়ান অনেকে। সব মিলিয়ে রাত পর্যন্ত চলে এই বৈঠক। তাতে বিস্তর আলোচনা যেমন হয়েছে, তেমনি হয়েছে ব্যাপক তরজা।
মঙ্গলবার সিপিএম রাজ্য কমিটির বৈঠকে বড় বিষয় ছিল রাজ্যের পুরসভা নির্বাচন। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হবে, নাকি হবে না? কোন দিকে সিপিএম? কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যেতে নাকি প্রবল আপত্তি জানান কয়েকটি জেলার সিপিএম নেতারা। তাঁরা টেনেছেন শান্তিপুরের উদাহরণ। তাই দিয়ে একলা চলার দাবি করেছেন সিপিএম রাজ্য কমিটির বৈঠকে। যদিও জোট সওয়াল অব্যাহত রাখার কথা শোনা গিয়েছে খোদ সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের কণ্ঠে। পার্টি লাইনের কথা মনে করিয়ে জবাবি ভাষণে তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী ভোট এক বাক্সে আনার প্রসঙ্গ তোলেন সূর্যকান্ত মিশ্র।
যদিও পুরভোটের রণকৌশল নির্ধারণে সব থেকে বেশি ভূমিকা থাকবে যে স্থানীয় নেতৃত্বের, সেটা-ও জানাতে ভোলেননি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বৈঠক হয়। তাতে জোর তরজা হয় শুধু জোট নিয়েই।
সূত্রের খবর, জোট নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে মূলত চারটি জেলার সিপিএম নেতারা। হাওড়া, কলকাতা, বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদ। এই চার জেলা কমিটি নেতৃত্ব দলের অন্দরে হার্ডলাইনার বা কট্টরপন্থী বলে পরিচিত। তাঁদের পুরভোটে জোটে যেতে প্রবল অনীহা। অন্যদিকে জোটের দিকেও সওয়াল করা নেতাদের সংখ্যাও কম নয় বেশি।
আরও পড়ুন: BJP meeting: শুরু হয়ে গেল ভোটের প্রস্তুতি, কলকাতা-হাওড়া নিয়ে বৈঠকে বিজেপি
এদিকে চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন এবং সামসেরগঞ্জ বিধানসভার ফলাফলে উজ্জীবিত বাম এবং কংগ্রেস নেতারা। বিধান ভবনের একাংশ ইতিমধ্যেই পুরভোটে বামেদের সাথে জোট করে ভোটে লড়ার পক্ষে সওয়াল করতে শুরু করেছেন। অধীর চৌধুরীও জানিয়েছেন,‘বাম এবং কংগ্রেসের জোট ভেঙে গেছে এমন কথা আমরা কখনও বলিনি।’ সব মিলিয়ে জোটের সম্ভাবনা থাকছেই। আবার সিপিএমে একা লড়ার পক্ষপাতীদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এখন দেখার কোন মতে সিলমোহর দেন শীর্ষ নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: Srikanta Mahato: কেন এত অভিযোগ আসছে? মন্ত্রী শ্রীকান্তকে ভর্ৎসনা মমতার