কলকাতা: বিজেপি বনধ ডাকার পরই তৎপর নবান্ন। রবিবার রাত সাড়ে ৮টায় বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশসুপারদের নিয়ে এই বৈঠক হবে। বনধের জন্য কী প্রস্তুতি তা নিয়েই এই বৈঠক বলে নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে। এই বৈঠক থেকে বেশ কিছু নির্দেশ মুখ্যসচিব দিতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। সোমবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডেকেছে বিজেপি। এই বনধকে কেন্দ্র করেই মুখ্যসচিবের উপস্থিতিতে প্রতিটি জেলার পুলিশসুপার, জেলাশাসক ও কমিশনারেট এলাকার কমিশনারদের বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য এদিন ভোটের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানেই তিনি জানান, “আমাদের রাজ্য সরকার স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছে সমস্ত বেসরকারি ও সরকারি দফতর খোলা থাকবে। পরিবহণ একেবারেই স্বাভাবিক থাকবে। আমরা সমস্ত রকমভাবে প্রস্তুত থাকব। কেউ যদি কোথাও জোর করে বা সাধারণ মানুষকে বাধা দেয় আমরা খুব কঠোরভাবেই সেখানে ব্যবস্থা নেব।”
রবিবার ১০৮ পুরসভার ভোট (যদিও ইতিমধ্যেই একাধিক পুরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে শাসকদল) নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির। হিংসা, দেদার ছাপ্পার অভিযোগ তুলে ময়দানে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। বাম-কংগ্রেসও প্রতিবাদে মুখর। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করলে এই পরিস্থিতি রোখা যেত বলেই দাবি বিরোধীদের। ভোটে হিংসার অভিযোগ তুলে রাজভবনে গিয়েছে বিজেপির প্রতিনিধি দল।
যদিও রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ক্রমাগত বাংলাকে বদনাম করার চক্রান্ত হচ্ছে। একটা নির্বাচিত সরকার গণতন্ত্র মেনে মানুষকে নিয়ে চলছে। ১১ হাজার বুথের কতগুলোয় গোলমাল হয়েছে? সামান্য কয়েকটা বুথে ঝামেলা হয়েছে। হঠাৎ সোমবার বনধ ডেকে ফেলা হল? এটাও বাংলাকে পিছিয়ে দেওয়ারই একটা কৌশল। তৃণমূলও রাস্তায় নামবে। প্রশাসন রাস্তায় থাকবে।” একইসঙ্গে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে ফিরহাদ হাকিমের বার্তা, কোনওরকম প্ররোচনায় যেন কেউ পা না দেয়। একইসঙ্গে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপ দাগে ফিরহাদ। কলকাতার মেয়রের কথায়, “মহামান্য রাজ্যপালকে বলি বিজেপির পতাকা হাতে আগামিকাল বনধ সফল করুন। রাজভবনকে কলুষিত করবেন না।”
আরও পড়ুন: Municipality Elections 2022: ‘গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়েছে’, নির্বাচন কমিশনারকে তলব রাজ্যপালের