Municipality Elections 2022: ‘গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়েছে’, নির্বাচন কমিশনারকে তলব রাজ্যপালের
West Bengal Municipal Elections 2022: ১০৮টি পুরসভায় রবিবার ভোট হয়েছে। এই নির্বাচন ঘিরে সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনার অভিযোগ উঠেছে।
কলকাতা: পুরভোটে (West Bengal Municipal Elections 2022) বেলাগাম হিংসার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস একযোগে আঙুল তুলেছে শাসকদল ও পুলিশ প্রশাসনের দিকে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য, কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। এবার পুরভোটের অশান্তির জেরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তলব করলেন রাজ্যপাল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে সোমবার সকাল ১০টায় রাজভবনে তলব করা হয়েছে। টুইট করে এ কথা জানান রাজ্যপাল।
১০৮টি পুরসভায় রবিবার ভোট হয়েছে। এই নির্বাচন ঘিরে সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনার অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ মানুষ থেকে শাসক কিংবা বিরোধী প্রার্থী এমনকী পুলিশকেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে এদিন। মহিলা প্রার্থীর গায়ে হাত তোলার পাশাপাশি ধর্ষণের হুমকির অভিযোগও উঠেছে। এরপরই বিকেল ৫টায় ভোটপর্ব শেষ হওয়ার পরই টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপাল টুইটারে লেখেন, ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে সোমবার সকাল ১০টার আগে আসতে বলা হয়েছে।’ ২৭ ফেব্রুয়ারি গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
WB Guv:
State Election Commissioner Shri Saurab Das has been called upon to brief Guv anytime before 10 am tomorrow in view of alarmingly disturbing inputs, depicting scenario of violence and lawlessness, with administration in partisan mode and systemic failure #SEC pic.twitter.com/zmCBNCLyD4
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) February 27, 2022
Re:Election to Municipalities- Constitutional Bodies under Part IX A of Constitution.
State Election Commissioner Shri Saurab Das has been called upon to to be fully updated on developments in the election process on February 27 that prima facie indicate failure of democracy.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) February 27, 2022
প্রসঙ্গত, পুরভোটে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে আগেই সতর্ক করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন আছে কি না, প্রয়োজন থাকলে কোথায় কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, কোথাও কোনও গন্ডগোল হলে তার দায় নিতে হবে কমিশনকেই।