BGBS 2025 Sourav Ganguly: ‘আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন’, অম্বানী-জিন্দলদের সামনে ‘দিদির’ প্রশংসায় সৌরভ
BGBS Sourav Ganguly: শিল্পপতিদের সামনে পরিসংখ্যান দিয়ে বোঝান, কীভাবে কৃষি থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যক্ষেত্র, শিক্ষা, বিনোদন, সব বিষয়ে আলোচনা হয় এখানে। তিনি বলেন , "ক্রিকেটের লোক হলেও আমাদের রাজ্যে এসে এত নামী শিল্পপতি ও উদ্যোগপতিরা লগ্নি করতে চান ভাবলে খুব খুশি হই। মমতাদির তরফ থেকে সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।"

কলকাতা: কিংবদন্তি ক্রিকেটার। যিনি রাজ্যে বিনিয়োগের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্পেন সফরে গিয়ে। বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে এসে এবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করলেন। কথার ফাঁকেই বলে ফেললেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বটে, তবে তিনি আমাদের কাছে দিদিই।” মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কী রকমের সম্পর্ক, কীভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে প্রয়োজনে সাহায্য পেয়েছেন তিনি, সেকথাও শেয়ার করেন এদিনের মঞ্চে।
বক্তা যখন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, তখন একেবারে সামনের সারিতে বসে মুকেশ অম্বানী, সজ্জন জিন্দল, সঞ্জীব গোয়েঙ্কারা। তাবড় শিল্পপতিদের সামনে দাঁড়িয়ে সৌরভ বললেন, “এই অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণের জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। কিন্তু যখন তিনি প্রতি বছর আমাকে আমন্ত্রণ জানান, তখন আমি তাঁর কাছে জানতে চাই, কেন এই শিল্প সম্মেলনে, যেখানে তাবড় শিল্পপতিরা উপস্থিত থাকেন, সেখানে আমার ভূমিকা কী থাকবে? তিনি আমাকে বারবারই বলেন, যেখানে তুমি গোটা বিশ্বের কাছে আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলার প্রতিনিধিত্বের কাজ করো, তোমাকে অবশ্যই আসতে হবে।” আর তাঁর কথায়, “আমি প্রত্যেক বছর যখন এখানে আসি, প্রত্যেকবারই দেখি এই শিল্প সম্মেলনের প্রাচুর্যতা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। শিল্পক্ষেত্রে সার্বিকভাবে সফল সমস্ত শিল্পপতিদের এক ছাদের তলায় নিয়ে আসাই এই শিল্প সম্মলনের লক্ষ্য, যাতে বাংলার মাটিতে শিল্প পরিসর আরও প্রশস্ত হয়।”
শিল্পপতিদের সামনে পরিসংখ্যান দিয়ে বোঝান, কীভাবে কৃষি থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যক্ষেত্র, শিক্ষা, বিনোদন, সব বিষয়ে আলোচনা হয় এখানে। তিনি বলেন , “ক্রিকেটের লোক হলেও আমাদের রাজ্যে এসে এত নামী শিল্পপতি ও উদ্যোগপতিরা লগ্নি করতে চান ভাবলে খুব খুশি হই। মমতাদির তরফ থেকে সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, শালবনিতে ইস্পাত কারখানা নির্মাণের ঘোষণা আগেই বলেছিলেন সৌরভ। বুধবার বাণিজ্য সম্মেলনে সেই বিষয়টির উত্থাপন করেন। সঙ্গে এও বলেন, এক্ষেত্রে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কীভাবে সাহায্য পেয়েছিলেন। সৌরভ বলেন, “আমি ব্যবসার খুব একটা বুঝি না। তবে গত কয়েক বছর ধরে লগ্নি করার চেষ্টা করছি। আমি মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর আধিকারিকদের থেকে ভীষণ সমর্থন ও সাহায্য পাই।”
আর সে কথা বলতে গিয়েই সৌরভ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ‘মুখ্যমন্ত্রী’ পদের বাইরে গিয়েও কীভাবে ব্যক্তিগত পরিসরে সাহায্য পেয়েছেন, সেকথাও বলেন। তিনি বলেন, “উনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে আমাদের কাছে উনি দিদিই। যখনই মেসেজ করি, উত্তর দেন। সে যত রাতেই হোক না কেন। আমি মাঝে মধ্যে ভাবি, কী করে একজন মুখ্যমন্ত্রী এত সময় পান? আশা করছি আপনার নেতৃত্বে রাজ্য আরও এগিয়ে চলবে।”
শিল্প-কৃষিক্ষেত্র থেকে শুরু করে বিনোদন তো বটেই, কিন্তু খেলার জগতেও যে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে, সেকথা বলেন সৌরভ। তিনি বলেন, “আমি অনূর্ধ্ব ১৫ স্তর থেকে যখন বাংলার হয়ে খেলতাম, তখন থেকে খেলাধুলোর উন্নতি চোখে পড়ার মতো। আমি নিজে দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে যুক্ত। লগ্নি শুধু বাণিজ্যে নয়, খেলাধুলোতেও হবে বলে আশা করি।” তবে কেবল ক্রিকেটেই নয়, বাঙালির বড় ‘আবেগ’ ফুটবলেও যে লগ্নি প্রয়োজন সেকথাও শিল্পপতিদের স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় স্বাভাবিকভাবেই বাঙালির আবেগ। বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। তিনি যখন তাবড় শিল্পপতিদের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলায় শিল্পক্ষেত্রে পরিসরের কথা বলছেন, তখন বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, একথা শিল্পপতিদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব পাবে। আর মাইলেজ পাবে মমতা-সরকার।





