Bhabanipur By-Election: ‘মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে ভবানীপুর চিন্তিত নয়, আমরাই জিতব’, ভোট শেষে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি
Bhabanipur By-Election: শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে ভবানীপুরের মানুষ ভাবিত নন, সেটা আজকের ভোটদানের হারেই সাফ হয়ে গিয়েছে।
কলকাতা: ইংরাজির ‘বি’ দিয়ে ভবানীপুর, আবার ‘বি’ দিয়ে ভারত। পশ্চিমবঙ্গের ‘মিনি ইন্ডিয়া’ ভবানীপুরে বিধানসভা উপনির্বাচন (Bhabanipur By Election) উপলক্ষে এমনই প্রচার করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) তরফে। এই নির্বাচনকে দিল্লি জয়ের ভোট বলেও তুলনা করা হয়েছিল। কিন্তু গোটা দিন ভোট শেষে যে শতাংশ মানুষ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন, তাতে তৃণমূলের উচ্ছসিত হওয়ার কোনও কারণ দেখছে না বিজেপি (BJP)। ভবানীপুরের ভোট মিটে যাওয়ার পর এক সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি রাজ্য সহ-সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে ভবানীপুরের মানুষ ভাবিত নন, সেটা আজকের ভোটদানের হারেই সাফ হয়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে জয়ের বিষয়েও বিজেপি আত্মবিশ্বাসী বলে দাবি করেন শমীকবাবু।
শমীকের কটাক্ষ, “একটি অভূতপূর্ব ঘোষণার মধ্যে দিয়ে ভবানীপুর স্পেশালের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু তাতে খুব একটা যাত্রী এখনও পর্যন্ত কেউই দেখতে পেলেন না।” বিজেপির দাবি, ভোট দেওয়ার জন্য মানুষের মধ্যে কোনও উৎসাহ দেখা যায়নি। তাই ভবানীপুরের মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে তাঁরা চিন্তিত নন। এবং যে উচ্চতায় এই উপনির্বাচনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কম মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে যে তাঁরা এই বিষয়ে খুব একটা আগ্রহী নন।
খালসা হাইস্কুল-সহ অন্যান্য কেন্দ্রে ভুয়ো ভোটার হাতেনাতে ধরা পড়া নিয়েও তৃণমূলকে একহাত নিয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেওয়া হয়েছে। শমীক বলেন, “কোথাও ভুয়ো ভোটার ধরা পড়লেন, কোথাও পালিয়ে গেলেন। রাজ্যে তিনজন দাপুটে মন্ত্রী ঘুরে বেড়ালেন। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাও অবশ্যই প্রশ্নচিহ্নের মুখে। এটা কোন নির্বাচনী বিধির মধ্যে পড়ে?” রাজ্যের তিন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমকে নিশানায় নিয়ে বলেন শমীক।
এখানেই শেষ নয়। অভিযোগের তালিকা আর দীর্ঘ করে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, “প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের অন্যতম প্রস্তাবক রঘবীর সিং ভুয়ো ভোটার ধরিয়ে দিয়েছিলেন। সেই অপরাধে তাঁকে পুলিশ দিয়ে আটক করলেন স্থানীয় প্রাক্তন জনপ্রতিনিধি। তৃণমূল আগেও ভবানীপুরের মানুষকে ভরসা করতে পারেনি, এখনও করতে পারছে না।” যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্রার্থী, সেখানে যদি ভুয়ো ভোটার এসে ভোট দিয়ে যান, তবে বাকি কেন্দ্রেগুলিতে কী হবে! প্রশ্ন বিজেপির। যদিও জেতার বিষয়ে এ দিন সম্পূর্ণরূপে আত্মবিশ্বাসী শোনায় বিজেপিকে। শমীক বলেন, “আমার জেতার লড়াই লড়েছি। আমরা জিতব, এই বিশ্বাস রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে অতীতেও নন্দীগ্রামে হারিয়েছি, হারাব এই আত্মবিশ্বাস আছে।”