Bhangar: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাই সার, ৩ মাসেও লালবাজারের আওতায় এল না ভাঙড়

Bhangar: পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নের পর্ব থেকেই বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। তার মধ্যেও নির্বাচনের দিনগুলোতে তো বটেই, এমনকি গণনার রাতে বিভীষিকার চেহারা নিয়েছিল ভাঙড়। তৃণমূল ও আইএসএফের সংঘর্ষে এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয়।

Bhangar: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাই সার, ৩ মাসেও লালবাজারের আওতায় এল না ভাঙড়
ভাঙড় থানাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 20, 2023 | 1:51 PM

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর কেটে গিয়েছে তিন মাস। এখনও কলকাতা পুলিশের আওতায় এল না ভাঙড়। অগাস্টেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ গেজেট পাশ করেন নবান্নে। ৯টি থানায় ভাগ করে ভাঙড়কে আলাদা ডিভিশন করার তোড়জোড় শুরু হয়। কিন্তু অগাস্টে নোটিফিকেশন পাশ করার তিন মাস পরেও ভাঙড় এল না লালবাজারের আওতায়। যদিও প্রশাসনিক সূত্রের খবর, যাতে দ্রুত এটি করা সম্ভব হয়, তার তৎপরতা শুরু হয়েছে। লালবাজারও প্রস্তুতি শুরু করেছে। ভবনের কাজ চলছে। সব কটি থানার কাজ কবে শেষ হবে, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নের পর্ব থেকেই বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। তার মধ্যেও নির্বাচনের দিনগুলোতে তো বটেই, এমনকি গণনার রাতে বিভীষিকার চেহারা নিয়েছিল ভাঙড়। তৃণমূল ও আইএসএফের সংঘর্ষে এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয়। গুলিচালনারও অভিযোগ ওঠে। তিন জন আইএসএফ কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। শানপুকুরের চণ্ডীহাট গ্রাম ও চালতাবেড়িয়া এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয়। রক্তারক্তি, বোমাবাজি, গুলিচালনায় গোটা নির্বাচন পর্বে হিংসার নিরিখে প্রথম স্থানে থাকে ভাঙড়। ভাঙড়ে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকাতে বিরক্ত হোন খোদ পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এরপর নির্বাচন মেটার পর আলিপুর বডিগার্ড লাইনসের একটি অনুষ্ঠানে ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের আওতায় আনার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাতে ভাঙড়ের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নতুন করে হাতের বাইরে না যায়, তার ওপর নজরদারি রাখতেই এই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। ২২ অগাস্ট নবান্ন থেকে একটি পুলিশ গেজেট প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ভাঙড় ডিভিশন বলে আরেকটি ডিভিশন তৈরি করা হচ্ছে। কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা তার আওতায় চলে যাবে ও আরও আটটি থানা তৈরি হবে।

সূত্রের খবর, থানার কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তিন মাস পরেও সেই নির্দেশিকা এখনও কার্যকরী হয়নি। প্রশাসনিক অন্দরে কান পাতলেও, এই নিয়ে কারোর মধ্যেই কোনও স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যায়নি। পুলিশের শীর্ষকর্তারা এই নিয়ে কিছুই মুখ খুলছেন না। আদৌ চব্বিশের নির্বাচনের আগে ভাঙড় কলকাতা পুলিশের আওতায় আসবে কিনা, তা নিয়েই রয়েছে ধোঁয়াশা।