AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bidhannagar Municipal Corporation: ‘কে সাপের ভূমিকা পালন করছেন সবাই জানেন’, নাম না করে সব্যসাচীকে তোপ কৃষ্ণার, বিধাননগরে তুঙ্গে কাজিয়া

Bidhannagar Municipal Corporation: এই বিতর্কের সূত্রপাত গার্ডেনরিচে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে পড়ার সময়ে। ১০ জনের মৃত্যুর পরই বিস্ফোরক দাবি করেন সব্যসাচী। তিনি বলেন, "বিধাননগরে মাত্র দু’টি ওয়ার্ডে তিনশোর বেশি বেআইনি বাড়ি রয়েছে। যা হয়েছে বর্তমান মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর আমলে।"

Bidhannagar Municipal Corporation: 'কে সাপের ভূমিকা পালন করছেন সবাই জানেন', নাম না করে সব্যসাচীকে তোপ কৃষ্ণার, বিধাননগরে তুঙ্গে কাজিয়া
সব্যসাচী দত্ত কৃষ্ণা চক্রবর্তী (ফাইল ছবি)Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 02, 2024 | 2:35 PM
Share

কলকাতা: পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, বিধাননগরে মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর সঙ্গে চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্তের কাজিয়া তুঙ্গে। নাম না করেই মেয়র বলেছেন, “কে কে সাপের ভূমিকা পালন করছেন, আপনারা জানেন? ” আর তাঁর মন্তব্য ঘিরেই জল্পনা তুঙ্গে। বিধাননগরের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্তের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বললেন, ‘বন দফতরে খবর দিন।’

প্রসঙ্গত, এই বিতর্কের সূত্রপাত গার্ডেনরিচে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে পড়ার সময়ে। ১০ জনের মৃত্যুর পরই বিস্ফোরক দাবি করেন সব্যসাচী। তিনি বলেন, “বিধাননগরে মাত্র দু’টি ওয়ার্ডে তিনশোর বেশি বেআইনি বাড়ি রয়েছে। যা হয়েছে বর্তমান মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর আমলে।” কৃষ্ণা সম্পূর্ণ ভাবে সে অভিযোগ অস্বীকার করেন। তখন থেকে চাপা বিতর্ক ছিলই। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধাননগরে অবৈধ নির্মাণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারপর নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে এই কাজিয়া।

সম্প্রতি পৌরনিগমেরই একটি অনুষ্ঠানে মঞ্চে দাঁড়িয়ে মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, “মানুষই শেষ কথা বলেন। কে আপনার পাশে, কে আপনার পাশে নেই, কে ভাল কাজ করছে, কে সাপের ভূমিকা পালন করছেন, সেটা বুঝে গিয়েছেন। বিধাননগর মাথা উঁচু করে ছিল, উঁচু করেই থাকবে।” কৃষ্ণার এই বক্তব্য ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই তুঙ্গে ওঠে জল্পনা। কাকে ‘সাপ’ বললেন কৃষ্ণা। এদিকে নাম না করে সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ও। তাঁর বক্তব্য, যিনি এক  সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছিলেন, তিনি এখন নানা অভিযোগ করছেন?  তাঁর চিরকূট পৌঁছে যাচ্ছে?

বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের চিরকূট নিয়ে যাওয়ার কোনও বিষয় নেই। আমাদের চিরকূট ধরানোরও লোক নেই। একজন মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালাগালি দিয়েছেন. তিনি চিরকূট দিচ্ছেন! এত তাড়াতাড়ি তাঁর চিরকূট গ্রহণ  করা যাবে না। ছিলেন কোনও ভাড়া করা দলের, এখন এসেছে আবার।  এই ধরনের মানুষগুলো যদি বসে থাকে, তাঁদের বুলডোজার দিয়ে সরানো যায় না। এত বছর ধরে রাজারহাটে রাজনীতি করছি, রাজারহাটে আমাদের অনেক কিছু বলার আছে। ” বিধাননগর পৌরনিগমের পরিষেবা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশের মধ্যেই দলীয় কাজিয়া তুঙ্গে।