Bikash Bhavan: স্লোগান উঠল ‘চোর’, সব্যসাচী দত্তকে সরকারি দফতরেই ঘিরে ধরে তুমুল টানা হিঁচড়া চাকরিহারাদের
Bikash Bhavan: সব্যসাচী বলেন, "আমি আমার নিজের কাজে এসেছিলাম। ওরা ওদের আবেগে করছে। মুখ্য়মন্ত্রী রিভিউ পিটিশন করেছেন। ওদের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। ওরা জানেও না কাকে বিক্ষোভ দেখাবে? চোর স্লোগান কাকে দিচ্ছে ওরাই জানে, ওরা কাকে দিয়েছে, ওরাই জানে..."

কলকাতা: চাকরিহারাদের বিক্ষোভে তুমুল উত্তেজনা বিকাশভবনে। সরকারি দফতরের গেট ভেঙে একেবারে মাটিতে মিশিয়ে ভিতরে ঢুকে যান চাকরিহারা। বিধাননগর পুলিশ রীতিমতো হিমশিত খাচ্ছে তখন তাদের সামলাতে। এই পরিস্থিতিতে আচমকা ভিতরে ঢোকেন বিধাননগর পৌরনিগমের মেয়র সব্যসাচী দত্ত। কিন্তু ভিতরে পৌঁছতেই পারেনি। তার আগেই বিপর্যয়। চাকরিহারারা রীতিমতো ঘিরে ধরেন সব্যসাচীকে। তাঁকে ধরে রীতিমতো টানা হিঁচড়া চলতে থাকে। নিরাপত্তা রক্ষীরাও তাঁদের সামাল দিতে পারছিলেন না প্রাথমিকভাবে। তাঁকে কোনওক্রমে বার করে আনার চেষ্টা চলে। ভিড়ের মাঝ থেকে টেনে বার করে আনেন। চাকরিহারাদের ভিতর থেকে স্লোগান ওঠে ‘চাকরি চোর’। সব্যসাচীকে কোনওক্রমে গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছন নিরাপত্তারক্ষীরা। সেসময়ে রীতিমতো গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন চাকরিহারারা।
সব্যসাচী বলেন, “আমি আমার নিজের কাজে এসেছিলাম। ওরা ওদের আবেগে করছে। মুখ্য়মন্ত্রী রিভিউ পিটিশন করেছেন। ওদের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। ওরা জানেও না কাকে বিক্ষোভ দেখাবে? চোর স্লোগান কাকে দিচ্ছে ওরাই জানে, ওরা কাকে দিয়েছে, ওরাই জানে…”
চাকরিহারাদের তরফ থেকে বলা হয়, “আমরা যদি চুরি করে থাকি, তাহলে আমাদের গুলি চালিয়ে দিক।”
এই পরিস্থিতির মধ্যে হঠাৎ করে ওই এলাকায় পৌঁছে যান সব্যসাচীর অনুগামীরা। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অনুগামীরা হঠাৎ করে হেলমেট দিয়ে মারধর করতে থাকেন। সাংবাদিকদের ছবি তুলতে, খবর করতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। অনুগামীদের দেখে একেবারে দাবাং মুডে চলে যান সব্যসাচী। নিজেই টেনে হিঁচড়ে চাকরিহারাদের সরাতে থাকেন। সাংবাদিকের গায়ে হাত দেন সব্যসাচীর অনুগামীরা। ‘তুই-তোকারি’ করতে থাকেন।

