AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bikash Ranjan Bhattacharya: ‘চৈতন্য দেবের কোন আদর্শের কথা বলছেন উনি?’, দোলে নিরামিষ খাওয়ার নিদান দেওয়া TMC চেয়ারম্যানকে ‘সংবিধান’ স্মরণ করালেন বিকাশরঞ্জন

Bikash Ranjan Bhattacharya: সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "এঁরা তো আরএসএস। তাঁরা তৃণমূলের জামা পরে বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে। ওঁদের এক একেক জন এক-একেক রকমের কথা বলেন, একটা ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করেন। এঁরা প্রকৃতপক্ষে আরএসএসের কর্মসূচি রূপায়িত করছেন।"

Bikash Ranjan Bhattacharya: 'চৈতন্য দেবের কোন আদর্শের কথা বলছেন উনি?', দোলে নিরামিষ খাওয়ার নিদান দেওয়া TMC চেয়ারম্যানকে 'সংবিধান' স্মরণ করালেন বিকাশরঞ্জন
নবদ্বীপের চেয়ারম্যানের মন্তব্যে বিকাশরঞ্জনের প্রতিক্রিয়াImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Mar 14, 2025 | 8:17 PM
Share

কলকাতা: দোল উপলক্ষে তিন দিন নবদ্বীপবাসীকে নিরামিষ খাওয়ার আবেদন পুরসভার চেয়ারম্যানের। আর তাই ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। মুখ খুললেন সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, আসলে আরএসএসের লোকই তৃণমূলের জামা পরে বসে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, দোল উপলক্ষে নবদ্বীপ পৌরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা একটি ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, “নবদ্বীপবাসীর কাছে পুরসভার পক্ষ থেকে আবেদন রেখেছি ১৩-১৫ মার্চ পর্যন্ত, এই তিনদিন নিরামিষ খান। আমরা আবেদন রেখেছি। আইন নয়। আমার মনে হয়, আইনের মতোই মানুষ সেটা ধরে নেবে ও পালন করবে। এখানে চৈতন্যদেবের আর্বিভাব, যাকে আমরা ভগবান বলি। তার আর্বিভাব তিথিতে লক্ষ লক্ষ ভক্ত আসছেন এখানে। তাঁরা অধিকাংশই নিরামিশভোজী।” আর এই বক্তব্য সামনে আসতেই বিতর্ক দানা বাঁধে।

বিষয়টি নিয়ে সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “এঁরা তো আরএসএস। তাঁরা তৃণমূলের জামা পরে বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে। ওঁদের এক একেক জন এক-একেক রকমের কথা বলেন, একটা ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করেন। এঁরা প্রকৃতপক্ষে আরএসএসের কর্মসূচি রূপায়িত করছেন।”

নবদ্বীপের চেয়ারম্যান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যে ভদ্রলোক বলেছেন, যে মাছ মাংস খাবেন না, তাঁকে অবিলম্বে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। সংবিধানবিরোধী কথা বলছেন। ভারতবর্ষে সংবিধান চালিত শাসন এখানে। চৈতন্য দেবের কোন আদর্শের কথা তিনি বলছেন? চৈতন্য দেবের তো আদর্শ ছিল, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সর্বধর্ম সমন্বয়। ওঁরা এসব জানেন না। মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে।”

যদিও এই বক্তব্য প্রসঙ্গে আবার বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “হঠাৎ ময়ূর পুচ্ছ লাগিয়ে হিন্দু সাজার চেষ্টা চলছে। নবদ্বীপের বৈষ্ণবীয় ধারা মেনে কিছু কথা উনি বলে থাকতে পারেন। কিন্তু ওরা রাজনীতি ছাড়া কোনও কিছু করে না। বাঙালি হিন্দু. উদ্বাস্তু হিন্দু, হিন্দি ভাষাভাষির বাঙালিদের মধ্যে যে জাগরণ হয়েছে, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে।”