Biman Banerjee: ‘ধনখড়ের সময়ে থেকেই নিয়ম বদলেছে’, নির্মলের শপথ জটে বললেন স্পিকার
Biman Banerjee: বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ ইস্যু তো ছিল, তবে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের সাম্প্রতিকতম ইস্যু হল ধূপগুড়ির জয়ী প্রার্থী নির্মল রায়ের শপথগ্রহণ। উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার এক দিনের মধ্যেই নির্মলের শপথগ্রহণ সংক্রান্ত ফাইল রাজভবনে পাঠিয়ে দিয়েছিল সরকার।
কলকাতা: ভোটের ফল ঘোষণার ২ সপ্তাহের বেশি পার। এখনও শপথ নিতে পারেননি ধূপগুড়ির জয়ী প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখেছেন বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এবার বিষয়টিতে বিরক্ত হয়ে মুখ খুললেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে স্পিকার বললেন, “আগে শপথ নিয়ে এমন আচরণ দেখা যেত না।” তিনি বলেন, “আমাদের ক্ষমতা দেওয়া হত। আমরা সেই ভাবে শপথের দিন ঠিক করতাম।”
পূর্বতন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সময় থেকেই এই পদ্ধতির পরিবর্তন হয়েছে বলে স্পিকার এদিন উল্লেখ করেন। রাজ্যপাল বলেন, “উনি দায়িত্ব নেওয়া শুরু করলেন। এখনও তাই চলছে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এক মাস সময় হতে চলল। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত না রাজ্যপাল অনুমতি দিচ্ছেন ততক্ষণ কিছু করার নেই৷”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ ইস্যু তো ছিল, তবে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের সাম্প্রতিকতম ইস্যু হল ধূপগুড়ির জয়ী প্রার্থী নির্মল রায়ের শপথগ্রহণ। উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার এক দিনের মধ্যেই নির্মলের শপথগ্রহণ সংক্রান্ত ফাইল রাজভবনে পাঠিয়ে দিয়েছিল সরকার। অভিযোগ, রাজভবনে সেই ফাইল আটকে থাকে দীর্ঘদিন। এরপর রাজভবনের তরফ থেকে জানানো হয়, রাজ্যপাল রাজভবনে ডেকেই শপথ করাতে চান নির্মল চন্দ্রের। রাজভবনে একজন বিধায়কের শপথ কীভাবে, তা নিয়েও বিস্তর বিতর্ক তৈরি হয়। এরই মধ্যে রাজ্যকে কিছু না জানিয়েই শপথগ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করার অভিযোগ ওঠে রাজভবনের বিরুদ্ধে। নিজের শপথগ্রহণের বিষয় নিয়ে খোদ নির্মল চন্দ্রও কিছুই জানতেন না। ফলে রাজভবনে শনিবার উপস্থিত ছিলেন না তিনি। শনিবার রাজভবনে ভেস্তে যায় শপথগ্রহণের প্রস্তুতি।
রাজভবনের তরফ থেকে জানানো হয়, শপথগ্রহণের দিনক্ষণ জানিয়ে নির্মল রায়কে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু নির্মলের দাবি, সোমবার তিনি সেই চিঠি হাতে পেয়েছেন। অর্থাৎ চিঠি প্রাপ্তির ৪৮ ঘণ্টা আগেই পেরিয়ে গিয়েছে শপথের সময়। বিষয়টি জানা মাত্রই নির্মলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব। নির্মল তাঁকে গোটা বিষয়টি বিস্তারিত জানান। তাতে ক্ষুব্ধ হয় রাজ্য সরকার।
এরপর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি লেখেন শোভনদেব। শোভনদেবের প্রতিক্রিয়া, “একজন নতুন বিধায়ক হয়েছেন। তিনি এলাকার উন্নয়ন করবেন। মানুষের কাজ করবেন, তা তো স্বাভাবিক। কিছু মানুষের শংসাপত্র তো দিতে পারবেন। কিন্তু রাজ্যপাল কেন এমন করছেন বুঝতে পারছি না। জানি না কেন এমন হচ্ছে।”