TMC Candidate: ‘মালা রায় ও হাজি নুরুলের মনোনয়ন বাতিল করতে হবে’, ভোটের আগেই উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ

Sayanta Bhattacharya | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

May 15, 2024 | 7:07 PM

TMC Candidate: বিজেপি এও উল্লেখ করেছে যে নো ডিউ সার্টিফিকেট জমা না দেওয়ার জন্য তাদের বীরভূমের প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়নও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তাই হাজি নুরুলের ক্ষেত্রে হবে না কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

TMC Candidate: মালা রায় ও হাজি নুরুলের মনোনয়ন বাতিল করতে হবে, ভোটের আগেই উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ
মালা রায় ও হাজি নুরুল ইসলাম
Image Credit source: GFX- TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: পঞ্চম দফার নির্বাচনের আগে সব রাজনৈতিক দলের প্রচার চলছে। এরই মধ্যে সপ্তম দফার দুই প্রার্থীকে নিয়ে বড়সড় অভিযোগ তুলল বিজেপি। একজন তৃণমূলের দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থী মালা রায় ও অপরজন বসিরহাটের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম। বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের মনোনয়নে চূড়ান্ত গলদ রয়েছে। আইন মেনে হয়নি বলেই দাবি করেছেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। মনোনয়ন বাতিলের আবেদনও জানিয়েছেন বিজেপি।

বিজেপি নেতা উল্লেখ করেছেন হাজি নুরুল ইসলাম মনোনয়ন দাখিল করেছেন গত ৭ মে। সরকারের ঘরে যে তাঁর কোনও বকেয়া নেই সেটা জানাতে হয় হলফনামায়। ২০১৪ সালের ১৮ মে পর্যন্ত তিনি ছিলেন সাংসদ। সে ক্ষেত্রে ২০২৪-এর ১৮ মে দশ বছর পূর্ণ হলে নো ডিউ সার্টিফিকেট জমা করতে হয় না। কিন্তু তার আগেই গত ৭ মে মনোনয়ন দাখিল করেন তিনি। সেখানে নো ডিউ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার কথা বলেই দাবি বিজেপির। ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র নির্বাচন কমিশনের কাছে হাজি নুরুলের মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে, দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থী মালা রায় বর্তমানে কলকাতা পুরসভার চেয়ার পার্সন পদে রয়েছেন। পুরনো আইন অনুযায়ী অফিস অব প্রফিট কলকাতা পুরসভার অফিস। তাই বিজেপির অভিযোগ, তিনি সেখান থেকে পদত্যাগ না করে মনোনয়ন জমা দিয়ে আইন লঙ্ঘন করেছেন। ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী মালা রায়ের প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

বিজেপি এও উল্লেখ করেছে যে নো ডিউ সার্টিফিকেট জমা না দেওয়ার জন্য তাদের বীরভূমের প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়নও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তাই হাজি নুরুলের ক্ষেত্রে হবে না কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা।

মালা রায়ের দাবি, এই অভিযোগ মিথ্যা। চক্রান্ত করা হচ্ছে, প্রার্থীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জানান, ২০১৯-এর জুন মাস থেকে হাউস অব প্রফিট তিনি নেন না। আর চেয়ারপার্সন থাকাকালীন ২০১৯-এও ভোটে লড়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘বিজেপি হেরে যাবে বলে, এবার শেষ অস্ত্র প্রয়োগ করার চেষ্টা করছে।’

Next Article