
কলকাতা: পাহাড় প্রমাণ প্রত্যাশায় মূহূর্তেই যেন জল! ভিআইপি কালচারের জন্য হাজার হাজার টিকিট কেটেও বঞ্চিত দর্শকরা। মেসি মাঠ ছাড়তেই এই একটা লাইনই এখন ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নাগরিক মহলে। ক্ষোভের আগুন তছনছ যুবভারতীয় স্টেডিয়াম। রাজনৈতিক মহলেও তুমুল জল্পনা। রাস্তা থেকেই ফিরে যেতে হয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেসির কাছে ক্ষমা চেয়ে তদন্ত কমিটি তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তোপের পর তোপ দাগছে বিজেপি। চুপ করে নেই সিপিএমও। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলছেন, “সাধারণ মানুষ হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছেন! ন্যূনতম টিকিটের দাম প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা। একশোদিনের কর্মীদের সাড়া মাসের যা মাইনে তা একটা টিকিটের দাম। একদল চোর, আর চোরদের বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ডরা মেসিকে ঘিরে রেখে দিল। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।”
গোটা মাঠেই কার্যত তাণ্ডব চলেছে। ভেঙে ফেলা হয়েছে তোরণ, ভেঙে ফেলা হয়েছে চেয়ার। কিন্তু চূড়ান্ত অব্যবস্থার দায় কার? প্রশ্ন ঘুরছে। তোপ দেগেছেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। বলছেন, “যাঁরা বোতল ছুঁড়েছে তাঁরাও তৃণমূল। আমার কাছে এমনই খবর আছে। টিকিটের দাম ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। সেই টিকিটের কালোবাজারিও হয়েছে। পুরোটাই একটা মেস। মেস অন মেস। পুরোটাই করল তৃণমূলের অসভ্য, বর্বর নেতা-নেত্রীরা। এটায় প্রমাণ হয়ে গেল পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতেই জানেন না।”
সুর চড়িয়েছে সিপিএম। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলছেন, “নবান্ন কিন্তু এখনও ভাঙচুর হয়নি, কালীঘাট এখনও ভাঙচুর হয়নি। বাংলায় খেলা হোক, মেলা হোক, বইমেলা হোক, দুর্নীতি হবে না? বিশৃঙ্খলা হবে না? কালোবাজারি হবে না?” অন্যদিকে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলছেন, “তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আবেগের ওপর সরাসরি আঘাত হেনেছে এবং প্রত্যেক ফুটবলপ্রেমীকে অপমান করেছে।”