
কলকাতা: রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আর মাত্র কয়েকমাস বাকি। তার আগে টানাপড়েনে আটকে গেল বিজেপির রাজ্য কমিটি গঠন। সংগঠনের পদ নাকি বিধানসভার প্রার্থীপদ! এই জটেই আটকে কমিটি গঠন। একদিকে ঘর গুছোতে শুরু করেছে তৃণমূল। রাজ্যস্তরের কমিটি তৈরি ইতিমধ্যেই শেষ করেছে তারা। প্রতিপক্ষ বিজেপির রাজ্য কমিটি কবে গঠন হবে! তা নিয়েই তৈরি হয়েছে সংশয়।
অতি দ্রুত কমিটি গঠন করতে চায় বঙ্গ বিজেপি। পুজোর আগে কি কমিটি গঠন হবে? স্পষ্ট জবাব মিলছে না এখনও। বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, অতি দ্রুত হবে কমিটি ঘোষণা। রাজ্য় বিজেপির কোনও নেতা সামনে এসে এই বিষয়ে মুখ না খুললেও সূত্রের খবর, সুনীল বনশল যা চাইছেন, তাতেই এই জটিলতা তৈরি হয়েছে।
দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা এ রাজ্যের বিজেপির পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল চাইছেন, যাঁরা সংগঠনের পদে থাকবেন, তাঁরা কেউ ভোটে লড়বেন না। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সহ বিভিন্ন পদ থেকে। রাজ্য পর্যায়েও সেই পথেই হাঁটতে চান বনশল। একই মত রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যেরও। সেখানেই জট বেঁধেছে কমিটি গঠনে। সূত্রের খবর, সংগঠনের পদ পাওয়ার তুলনায় ভোটে লড়ার আগ্রহই বেশি বেশিরভাগ বঙ্গ বিজেপির নেতা-কর্মীর। অনেকে চাইছেন, সংগঠনে থাকলেও ভোটে লড়তে দেওয়া হোক তাঁদের।
এদিকে, বনশলদের যুক্তি, বিধানসভা ভোট আর বেশিদিন বাকি নেই, ফলে ভোটের অনেক কাজ থাকে সংগঠনের পদাধিকারীর। তার পক্ষে সেই সব কাজ সামলে নিজের কেন্দ্রে সময় দেওয়া বেশ কঠিন হবে। তাই পদাধিকারী আর প্রার্থী আলাদা হওয়া উচিত বলে মনে করেন তাঁরা। এছাড়া আরও একটি যুক্তি হল, এত মানুষ এখন বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন যে ফলে সবাইকে প্রাপ্য মর্যাদার সঙ্গে সুযোগ করে দিতে হবে। এক ব্যক্তিকে দুটি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হলে অনেক যোগ্য ব্যক্তিকে বাইরে রাখতে হবে বলেই মনে করছে শীর্ষ নেতৃত্ব।
রাজ্য বিজেপির তরফে কোনও নেতা এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলছেন না। তাঁদের বক্তব্য, এটা সম্পূর্ণ দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখন দেখার পদাধিকারী নাকি প্রার্থী! এই দ্বন্দ্ব কাটিয়ে কবে রাজ্য কমিটি ঘোষণা করে বঙ্গ বিজেপি।