কলকাতা: ভোটের আগে বাকি আর দুই সপ্তাহ। আর তার আগেই উত্তপ্ত বিধাননগর। ২২ জানুয়ারি বিধাননগর পুরনিগমের নির্বাচন। আজ, শুক্রবার বিধান নগর পুরনিগমের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের নাওভাঙা এলাকায় বিজেপি প্রার্থী শম্পা দেবনাথ যখন প্রচার করতে গিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে চলছিল,দলীয় পতাকা লাগানোর কাজও। সেই সময়েই এলাকায় চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা প্রত্যেকেই রাজ্যের শাসক দলের আশ্রিত। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, বাইকে চেপে যে দুষ্কৃতীরা এসেছিল, তারা বিজেপি প্রার্থী এবং তাঁর দলীয় কর্মীদের উপর বেধড়ক মারধর করা হয়। বন্দুকের বাঁট দিয়েও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি কর্মীরা।
পাশাপাশি বিজেপি কর্মীদের আরও অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের সময়েও সেখানে ঠিক ভাবে ভোট করতে দেওয়া হয়নি। সেই কারণে বিধাননগর দক্ষিণ থানার আইসির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। সেই অভিযোগ কেন করা হয়েছিল, সেই সমস্ত বিষয় নিয়েও পরবর্তী সময়ে হুমকি দিতে থাকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিজেপি প্রার্থী ও কর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য বিধাননগর মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পদ্ম শিবিরের তরফে ইতিমধ্যেই বিধাননগর দক্ষিণ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
বিজেপির ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শম্পা দেবনাথ জানিয়েছেন, “আমরা যখন দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিলাম, তখন নাওডাঙার রাজা, বুবুন, তরুণ সহ কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কতী এলাকায় চড়াও হয়। রাজা দৌড়াতে দৌড়াতে এসে বলল, তোরা এখানে এসেছিস কেন, তোরা বিজেপির দালাল, তোরা এখানে ফ্ল্যাগ লাগাবি না। আমরা বললাম, তোমরা যদি লাগাতে পারো, আমরা কেন লাগাতে পারবো না। এটা তো আমাদেরও এলাকা। এটা তো ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যেই পড়ে। তখন ওরা বলছে, এখানে নাওভাঙার মধ্যে তোদের কোনও জায়গা নেই, এখানে তোদের ঢোকা যাবে না।”
প্রার্থীর অভিযোগ, সেই সময় যাঁরা দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিলেন, তাঁদের বাইক নিয়ে এসে তাড়া করে ওই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। প্রশান্ত দেবনাথ নামে এক বিজেপি কর্মীকে (বন্দুকের) বাঁট দিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। প্রার্থী শম্পা দেবনাথকে পর্যন্ত তোয়াক্কা করা হয়নি বলে দাবি পদ্ম শিবিরের।