
কলকাতা: বিহারে বিশাল জয় এনডিএ জোটের। ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে সব সমীকরণ। এক্কেবারে আইসিইউ-তে চলে গিয়েছে মহাগাঁটবন্ধন। বিহার জয়ের রেশ এবার ভোটমুখী বাংলাতেও। হাওড়া ব্রিজেও তুমুল বিজয়োল্লাস দেখা গেল বাংলার পদ্ম কর্মীদের। এক্কেবারে গ্র্যান্ড সেলিব্রেশন। হাওড়া জেলার নানা প্রান্তেও গেরুয়া আবির আনন্দে মেতে উঠলেন বিজেপি কর্মীরা। চলল বাজনা বাজিয়ে মিষ্টিমুখ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে উঠল জয়ধ্বনি।
দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গে, সেলিব্রেশনে জুড়ে গেল সব জেলাই। জলপাইগুড়ি জেলা কার্যালয়ে পথ চলতি মানুষকে মিষ্টি মুখ করিয়ে, ঢাক বাজিয়ে, অকাল হোলি খেলে সেলিব্রেশন করলেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। সন্দেশখালিতেও উড়ল গেরুয়া আবির। আনন্দে মাততে দেখা গেল সন্দেশখালির একাধিক প্রতিবাদী মুখকে। আবির খেলার শেষে চলল মিষ্টিমুখ। তাঁদের সাফ কথা, বিহার হল, বাংলাতেও ছাব্বিশে পরিবর্তন শুধু সময়ের অপেক্ষা। ফরাক্কাতেও আবির খেলায় মাতলেন বিজেপি কর্মীরা। শুক্রবার দুপুরে ফরাক্কার এনটিপিসি মোড়ে স্থানীয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। ফাটল বাজি। আবির মেখে জয়ধ্বনি তুললেন বিজেপির কর্মীরা।
নদিয়ার রানাঘাটে আবার ঢাক বাজিয়ে নাচতে দেখা গেল বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে। রানাঘাটে দলীয় কার্যালয়ে সামনে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে কর্মীদের মধ্যে করা হল লাড্ডু বিতরণ। সেলিব্রেশন চলল হুগলির শেওড়াফুলিতে। লাড্ডু বিলি করতে করতে গেরুয়া আবির নিয়ে উচ্ছ্বাসে মাততে দেখা গেল বিজেপি কর্মীরা। হাতে তখন ‘বিহার পারল বাংলাও পারবে’ পোস্টার। উচ্ছ্বাসের ছবি দেখা গেল সিঙ্গুরেও। সিঙ্গুরের বুড়া শান্তি এলাকায় বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে এর সামনে পথ চলতি মানুষের হাতে লাড্ডু বিলি করলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। তাঁদেরও সাফ কথা, বিজেপির জয়ের এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বাংলার নির্বাচনেও।