TMC-BJP Clash: ‘খতম করে দেব…’, ফিরহাদ-ঘনিষ্ঠের ‘হিন্দিতে হুঁশিয়ারি’, সজল মনে করালেন ‘বাঙালি অস্মিতা’

Firhad Hakim: রাজনৈতিক পরিধিতে এই হুমকি-হুঁশিয়ারি 'অসৌজন্যতা'র গন্ডি পেরিয়ে এখন কিছুটা হলেও 'স্বাভাবিক'। তা হলে সজলের চোখে 'অস্বাভাবিক' কী? ভাষা। বাংলা ভাষা। সেটাই তো এখন জায়গায় পেয়েছে রাজনীতির অলিন্দে।

TMC-BJP Clash: খতম করে দেব..., ফিরহাদ-ঘনিষ্ঠের হিন্দিতে হুঁশিয়ারি, সজল মনে করালেন বাঙালি অস্মিতা
সজল ঘোষ ও ফিরহাদ হাকিমImage Credit source: নিজস্ব চিত্র

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Aug 08, 2025 | 5:08 PM

কলকাতা: তিনি তৃণমূল নেতা। কাউন্সিলর। সর্বপরি ফিরহাদ-ঘনিষ্ঠ। আর তার মুখেই কিনা হিন্দিতে হুঁশিয়ারি। তাও আবার কখন? যখন দল শান দিচ্ছে বাঙালি অস্মিতায়। তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ঠিক এমনই অভিযোগ বিজেপি নেতা সজল ঘোষের।

বৃহস্পতিবার নিজের সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন তিনি (যার সত্যতা টিভি৯ বাংলা যাচাই করেনি)। তাতে দেখা যায়, কলকাতার ৮০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনোয়ার খান ভরা সভা থেকে বিজেপি নেতা-কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। রাজনৈতিক পরিধিতে এই হুমকি-হুঁশিয়ারি ‘অসৌজন্যতা’র গন্ডি পেরিয়ে এখন কিছুটা হলেও ‘স্বাভাবিক’। তা হলে সজলের চোখে ‘অস্বাভাবিক’ কী? ভাষা। বাংলা ভাষা। সেটাই তো এখন জায়গায় পেয়েছে রাজনীতির অলিন্দে।

সজলের পোস্ট করা ভিডিয়ো অনুযায়ী, কাউন্সিলর আনোয়ার খান বিজেপি নেতা-কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “আপনাদের মধ্য়ে যারা এখানে বিজেপি করেন, তার মন দিয়ে শুনে নিন। এখনই নিজেদের আচরণ বদলে ফেলুন। না হলে কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। সবাইকে শেষ (খতম) করে দেওয়া হবে।” এটা বাংলা ভাবানুবাদ। কাউন্সিলরের মুখ থেকে বেরনো প্রায় প্রতিটি শব্দ ‘হিন্দি’। যা নিয়ে আপত্তি সজলের।

এই প্রসঙ্গে শুক্রবার বিজেপি নেতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ওর রাজনৈতিক বাবা ফিরহাদ হাকিম বলে উর্দুতে সবাই ভাষণ দেবে। রাজনৈতিক পুত্র আনোয়ার খান বলছেন, তুম লোগো কো সাফ কর দেঙ্গা, বাঙালিকে খতম করে দেবে বলছে আনোয়ার খানেরা। জো কুত্তা, জো কুতিয়া, এটা হচ্ছে মহিলাদের প্রতি তৃণমূলের ভাষা।”

পাল্টা তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “বাংলায় হুমকি দিলে গণতান্ত্রিক মতে তা বিশুদ্ধ হয়ে যেত? আসলে হিন্দিতে আনোয়ার বলেছে বলে সজলের বুঝতে সুবিধা হয়েছে। আর আনোয়ার যেটা বলেছে ওটা হুমকি নয়। রাজনৈতিক ভাবে বদলা নেওয়ার কথা। আনোয়ার যে শব্দটা ব্যবহার করেছেন, সেটা না করলে হয় তো রাজনৈতিক ভাবে কারেক্ট থাকা যেত।”