BJP: সংগঠনের সঙ্গে BJP বিধায়কদের ‘দূরত্ব’? অভিযোগ শুনবেন বনশল
BJP: ঘনিষ্ঠ মহলে অনেক সময়ই একাধিক বিধায়ক অনুযোগ করেছেন, বিধায়কদের গুরুত্ব দিতে চান না সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। এমনকি, বিভিন্ন কমিটি গঠনেও বিধায়করা গুরুত্ব পাননি বলে দলের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। ছাব্বিশের ভোটের আগে সেই 'দূরত্ব' কমাতেই বৈঠক কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

কলকাতা: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এখন থেকেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে শাসক-বিরোধী দলগুলি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনশল। শনিবার বিকেলে বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে সল্টলেকে বিজেপির দফতরে।
হঠাৎ কেন এই বৈঠক?
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি বিধায়করা দাবি করছেন, তাঁদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে দলীয় স্তরে নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে চান। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই বৈঠক কি না, তা নিয়ে চর্চা চলছে বিজেপির অন্দরে। বিজেপির সংগঠন আর পরিষদীয় দলের মধ্যে ‘দূরত্ব’ নিয়েও নানা সময় আলোচনা হয়। ঘনিষ্ঠ মহলে অনেক সময়ই একাধিক বিধায়ক অনুযোগ করেছেন, বিধায়কদের গুরুত্ব দিতে চান না সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। এমনকি, বিভিন্ন কমিটি গঠনেও বিধায়করা গুরুত্ব পাননি বলে দলের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। ছাব্বিশের ভোটের আগে সেই ‘দূরত্ব’ কমাতেই বৈঠক কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
আর কয়েকমাস পরই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ছাব্বিশে রাজ্যে পালাবদলের ডাক দিয়েছে বিজেপি। নিজেদের সংগঠনকে আরও মজবুত করার চেষ্টা করছে। রাজ্য বিজেপির বেশিরভাগ সাংগঠনিক জেলায় নতুন সভাপতি নিয়োগ হয়েছে। তবে রাজ্য সভাপতি পদে সুকান্ত মজুমদারই থাকবেন, নাকি ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে অন্য কেউ দায়িত্ব নেবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এরই মধ্যে বিধায়ক ও সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে ‘দূরত্ব’-র ছবি সামনে এসেছে। সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে বিধায়করা সরব হচ্ছেন। রাজনীতির কারবারিদের একাংশের বক্তব্য, বিধায়কদের সেই সব অভাব অভিযোগের কথাই শুনবেন বনশল।

