West bengal Assembly: বাজছে বাজনা, বিধানসভার বাইরে একে অপরকে লাড্ডু খাওয়াচ্ছেন শুভেন্দুরা, কেন?
West bengal Assembly: মঙ্গলবার কালীগঞ্জে উপভোটের প্রচারে যান শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদাররা। সেখান থেকেই গতকাল শুভেন্দু স্পষ্ট করেন, বিধানসভায় তাঁরা আজ উৎসব পালন করবেন।

কলকাতা: ওবিসি (OBC) মামলায় মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের জারি করা নতুন বিজ্ঞপ্তির উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই কারণে বুধবার বিধানসভার বাইরে লাড্ডু বিতরণ করল বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা এই মিষ্টি বিতরণ করলেন।
মঙ্গলবার কালীগঞ্জে উপভোটের প্রচারে যান শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদাররা। সেখান থেকেই গতকাল শুভেন্দু স্পষ্ট করেন, বিধানসভায় তাঁরা আজ উৎসব পালন করবেন। লাড্ডু বিতরণ করবেন। বিজেপি বিধায়ক গতকাল বলেন, “বুধবার বিধানসভায় লাঞ্চের সময় বিজেপি বিধায়করা লাড্ডু বিতরণ করে উৎসব পালন করবে। ওবিসি হিন্দু, কুর্মী, কুম্ভকার, স্বর্ণকার, নাপিত, কামার-কুমোর এদের অধিকার লড়াইতে…প্রদেশ বিজেপি মোর্চা সল্টলেকে অবস্থান করবে। সুকান্ত মজুমদার ও আমিও সেখানে যাব।”
এরপর আজ বিধানসভার বাইরে বাজনা বাজিয়ে মিষ্টি বিতরণ করেন। শুধু তাই নয়, সাধারণ মানুষকেও এই মিষ্টি দেওয়া হয়। বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, “মমতার সরকার বারবার হিন্দু বিরোধী ওবিসি বিল নিয়ে এসেছিল। হাইকোর্ট থাপ্পর মেরে সেই বিলে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এই সরকার তোষণের রাজনীতি করছে।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাজ্যের জারি করা নতুন বিজ্ঞপ্তির উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। ১৪০টি জনজাতিকে নিয়ে গঠিত নতুন বিজ্ঞপ্তির উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। তবে যাঁরা ১৯৯৩ সালের আইন অনুযায়ী ২০১০ সালের আগে ওবিসি সার্টিফিকেট পেয়েছেন, তাঁদের চাকরি বা ভর্তির নিয়োগে বাধা থাকছে না।

