AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Suvendu Adhikari: ‘আমাকে এগারো সালে তাড়িয়ে…’, মদনকে সমর্থন করে বিস্ফোরক শুভেন্দু

Suvendu Adhikari: তৃণমূলকে আক্রমণ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "সব জেলাতেই মধ্যস্থতার জন্য কিছু এজেন্ট ছিল। যারা যুবা তৃণমূলের। যেন হুগলিতে শান্তনু, কুন্তল ছিল। আমাকে তাড়িয়ে এগারো সালে যুবা তৃণমূল হয়। তারাই এই টাকা সংগ্রহ করে। সব জেলায় তিনজন-চারজন করে নাম রয়েছে।"

Suvendu Adhikari: 'আমাকে এগারো সালে তাড়িয়ে...', মদনকে সমর্থন করে বিস্ফোরক শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী Image Credit: TV 9 Bangla
| Updated on: Feb 04, 2025 | 2:31 AM
Share

কলকাতা: ১০ লক্ষ টাকায় তৃণমূলের জেলা কমিটিতে পদ দেওয়া হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা আগেই বিস্ফোরক এই মন্তব্য করেছিলেন শাসকদলেরই কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। জেলাস্তরের একাংশ নেতা এতে জড়িত থাকতে পারেন বলে মন্তব্য করেছিলেন। এবার কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যকে সমর্থন করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, মদন মিত্র ঠিক কথা বলছেন। শাসকদলে পদের জন্য টাকা নেওয়া কয়েক বছর আগেই শুরু হয়েছে বলে তাঁর দাবি।

একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথমসারির নেতা ছিলেন শুভেন্দু। একাধিক দায়িত্ব পালন করেছেন। তৃণমূল যুবরও দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর পুরনো দলের নেতা মদন মিত্র তৃণমূল টাকা নিয়ে পদ দেওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। আইপ্যাককেও নিশানা করেছেন কামারহাটির বিধায়ক। তিনি বলেন, “সব থেকে বড় কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও দুর্নাম ছিল না। যেটুকু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গায়ে কালি লেগেছে, তা প্যাকওয়ালাদের জন্য।” টাকার বিনিময়ে তৃণমূলে পদ বিক্রি নিয়ে তিনি বলেন, “প্যাকের কারণেই এই টাকার প্রশ্নটা এল, পদ পেতে হলে যে টাকা দিতে হবে।”

মদনের বক্তব্যকে সমর্থন করে শুভেন্দু বলেন, “একদম ঠিক কথা বলেছেন মদন মিত্র। কাকদ্বীপের এক ঠিকাদার ২০২১ সালে আইপ্যাকের অ্যাকাউন্টে ১১ কোটি টাকা দিয়েছেন। আইপ্যাকের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে উনি ওই টাকা দিয়েছেন। আমার কাছে নথি রয়েছে।” কবে থেকে তৃণমূলে টাকা দিয়ে পদ পাওয়া শুরু হয়েছে, এদিন তাও খোলসা করেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, “ষোলোর পর থেকে শুরু হয়েছে। আঠারোর পর থেকে প্রধান, অঞ্চল সভাপতির পদ-সহ সব বিক্রি হয়েছে।”

২০১১ সালে যুব তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন শুভেন্দু। সেইসময় যুবা তৃণমূল গঠন নিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমাকে তাড়িয়ে এগারো সালে যুবা তৃণমূল হয়। তারাই এই টাকা সংগ্রহ করে। সব জেলায় তিনজন-চারজন করে নাম রয়েছে। যারা যুবা তৃণমূলের। যেমন হুগলিতে শান্তনু, কুন্তল ছিল।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু।

এদিকে, সোমবার রাতে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে চিঠি দিয়ে মদন জানান, সংবাদমাধ্যমের একাংশে তাঁর বক্তব্য বিকৃতভাবে প্রকাশ হয়েছে। তাঁকে ভুল না বোঝার জন্য দলের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।