কোথায় থাকবে অস্ত্র? আসা-যাওয়ার মাঝে বিজেপি বিধায়কদের ‘বাহিনী বিড়ম্বনা’!

BJP MLA: হলুদ ট্যাক্সি কিংবা ট্যাক্সি। তাতে চেপেই বিধানসভায় আসেন বিধায়করা। আর বিধায়ক তো তাঁর 'ভিআইপি'। তাই ভিআইপির নিরাপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও সেই গাড়িতেই চড়তে হয়। কিন্তু সঙ্গে থাকা কার্বাইন, একে ৪৭, ইনস‍্যাস-সহ আগ্নেয়াস্ত্রও তাতে সঙ্গী হয়। বিধায়ক যখন বাহিনী নিয়ে গাড়িতে ওঠেন তাঁদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েন গাড়ি চালকও।

কোথায় থাকবে অস্ত্র? আসা-যাওয়ার মাঝে বিজেপি বিধায়কদের 'বাহিনী বিড়ম্বনা'!
অলংকরণ: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2021 | 8:11 AM

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ: কয়েকজন ছাড়া সিংহভাগ বিজেপি বিধায়কের (BJP MLA) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) জওয়ানরা। আর বিজেপির বেশির ভাগ বিধায়কের ঠিকানা উত্তরবঙ্গ। কিছুজনের ঠিকানা রাঢ়বঙ্গ। এখন ওইসব বিধায়কদের পক্ষে গাড়ি ভাড়া করে বা নিজের গাড়িতে বিধানসভায় আসা যথেষ্ট কঠিন। কারণ, যাতায়াতের সময় এবং আর্থিক ব্যয়- দুইই বাড়বে। তাই ওইসব বিধায়কদের আবাসন থেকে বিধানসভায় আসার ভরসা ভাড়া করা গাড়ি।

কী সেই গাড়ি? হলুদ ট্যাক্সি কিংবা ট্যাক্সি। তাতে চেপেই বিধানসভায় আসেন বিধায়করা। আর বিধায়ক তো তাঁর ‘ভিআইপি’। তাই ভিআইপির নিরাপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও সেই গাড়িতেই চড়তে হয়। কিন্তু সঙ্গে থাকা কার্বাইন, একে ৪৭, ইনস‍্যাস-সহ আগ্নেয়াস্ত্রও তাতে সঙ্গী হয়। বিধায়ক যখন বাহিনী নিয়ে গাড়িতে ওঠেন তাঁদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েন গাড়ি চালকও। এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অস্ত্র রাখাও একটা সমস্যা। তো বিধায়কের সঙ্গে তো আগ্নেয়াস্ত্রের নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা হতে পারে? স্পষ্ট জবাব কেউ দিতে পারেননি। বিধায়ক কিংবা জওয়ানরা।

বিধায়কদের বক্তব্য, “এতে তো সমস্যা হয়। কিন্তু কী করব? বিধানসভা কর্তৃপক্ষ তো ব্যবস্থা করছে না কিছুই।” আর জওয়ানরা বলছেন, “ভিআইপি যেভাবে যেখানে যাবেন, আমরাও সেভাবেই যাব।” তবে আগ্নেয়াস্ত্রের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নে কেউ মৌনব্রত নিচ্ছেন, আবার কেউ বলছেন, এটা তো সমস্যা। কিন্তু কী করে সমাধান হবে, তা কেউ জানেন না। কেউ শুধু স্মিত হাসিতেই শেষ করছেন জবাব।

উল্লেখ্য, এর ওপর উপরি চাপ রয়েছে বিধানসভা। আগে বিজেপি বিধায়করা স্পিকারের কাছে আবেদন করেছিলেন, তাঁদের নিরাপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিধানসভায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। বিজেপি বিধায়কদের শপথ গ্রহণের দিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় এলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। এরপরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে গত ২ জুলাই থেকে বিধানসভা অধিবেশন শুরু হচ্ছে। এই অধিবেশনে সব বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা থাকছেন। সেই সব কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা যাতে বিধানসভার বাইরে বিশ্রাম নিতে পারেন, সেজন্য এই বিশেষ ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেখানে শুরু হয় রং-বিতর্ক। ছাউনির রং প্রথমে সাদা ও হলুদ রঙে মোড়া থাকলেও পরে দেখা যায় সেটিকে নীল-সাদা রংয়ে মুড়ে ফেলা হয়। এ সবের মধ্যে কোথায় অস্ত্র রাখবেন সেটা আরেক বাড়তি সমস্যা জওয়ানদের কাছে। আগে পার্ক স্ট্রিট থানায় তাঁদের অস্ত্র রাখার বন্দোবস্ত হলেও সেখানে কিছু অসুবিধা হয়। তার পর তা সরিয়ে ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের কাছে একটা সেনা ব্যারাকে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। সব মিলিয়ে বিড়ম্বনায় বিধায়ক ও তাঁদের নিরপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। আরও পড়ুন: দুপুরে রাজভবনে শুভেন্দু, বিকেলেই দিল্লি সফরে রওনা দিচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়