
কলকাতা: আবারও CEO দফতরের সামনে BLO-দের একাংশের বিক্ষোভ। উত্তপ্ত পরিস্থিতি। একদিকে যখন বিএলও-দের বিক্ষোভ, তখন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে বৈঠকের জন্য পৌঁছেছেন বিজেপি বিধায়করা। বিক্ষুব্ধ বিএলও-দের মুখোমুখি হন বিজেপি বিধায়করা। চলতে থাকে স্লোগান। তার মাঝ দিয়েই ভিতরে প্রবেশ করেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিক্ষোভকারী বিএলও-দের সঙ্গে তখন পুলিশের চরম ধস্তাধস্তি। বিএলও-দের দাবি, মৃত বিএলওদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ৭দিন নয়, ২ মাস সময়সীমা বাড়াতে হবে। এই দাবিতে তাঁরা ডেপুটেশন দিতে যান। বিজেপির অভিযোগ, ওই বিএলও-রা তৃণমূলপন্থী।
নির্বাচন কমিশনে বিজেপি বিধায়কদের আসার কথা ছিল। সেটা পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি। কিন্তু দেখা যায়, বিজেপি বিধায়করা এসে পৌঁছানোর আগেই ‘তৃণমূলপন্থী’ বিএলও-রা এসে উপস্থিত হন। বিএলও অধিকার মঞ্চের তরফ থেকে বিএলও-রাও এদিন নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি জমা দিতে আসেন। বিজেপি বিধায়ক ও বিএলও-রা মুখোমুখি হতেই তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিএলও-রা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন, স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যারিকেড দেয়। দেখা যায়, ব্যারিকেডের ওপর উঠে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। এদিকে পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করাও।
এক বিক্ষোভকারী বিএলও বলেন, “আমাদের সময়সীমা বাড়াতে হবে। যাঁদের প্রাণ গিয়েছে, তাঁদের পরিবারের কী হবে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।” এক শিক্ষিকা বলেন, “বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে হাতিয়ার করে যে অত্যাচার চালাচ্ছে, তার প্রতিবাদে সামিল হয়েছি। ৭ দিনের জন্য সময় বাড়ানো হয়েছে, তাতে দু’টুকরো ছেঁড়া রুটি ফেরার মতো। ২ বছরের কাজ এভাবে ২ মাসে শেষ করা সম্ভব নয়। ২ মাস যাতে সময় বাড়ানো হয়, তার জন্য এখানে এসেছি।” এক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, “এইভাবে স্কুলগুলো থেকে শিক্ষিকাদের তুলে নিয়ে যে কাজ করা হচ্ছে, স্কুলগুলো কীভাবে চলবে? কোনও পরিকল্পনা ছাড়া কাজ হচ্ছে।”
এই মুহূর্তে সিইও দফতরের বাইরে বিক্ষুব্ধ বিএলও-দের বিক্ষোভ, ভিতরে বৈঠকের জন্য প্রবেশ করেছেন বিজেপি বিধায়করা। বাইরে মোতায়েন রয়েছে বিশাল বাহিনী, RAF। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করছেন শুভেন্দু অধিকারী। অবরুদ্ধ CEO দফতরের সামনের রাস্তা।